বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে ঈদ পালন করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এমপি। তবে ঈদের নামাজ পড়তে গিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি নিউইয়র্কের কাছে লং আইল্যান্ডে একটি বাড়ি কিনেছেন সাকিব। বুধবার (১০ এপ্রিল) সেখানকার জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত হয়।
সেখানে সবার সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন সাকিব। তবে এদিন তাকে অস্বস্তিতে সময় কাটাতে দেখা গেছে। কিছুটা নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন তিনি। প্রথমে কালো জ্যাকেট ও মাস্কে ক্যামেরা থেকে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করেন সাকিব। তবে কোনোভাবেই বিষয়টি সম্ভব না হওয়ায় মাথা নিচু করে থাকার চেষ্টা করেন তিনি।
এ সময়ে নিউইয়র্কে ঈদের নামাজে তাকে দেখে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেন সেখানে উপস্থিত সমর্থকরা। এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে নিজেকে সামলে নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন তিনি।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে প্রত্যক্ষদর্শীকে বলতে শোনা যায়, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে ঈদের নামাজ এবং সংবাদ সংগ্রহ করতে যাই। খুতবা শুরু হওয়ার আগে যথারীতি স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের শেষে হঠাৎ করে একজনকে বলতে শুনা যায়, অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এখানে আছেন, নামাজ পড়বেন। ঠিক তখনই পেছন থেকে অনেকেই ভুয়া ভুয়া বলে উঠেন।
আমি তখন ঈদের দিন হিসেবে পজিটিভলি সেই দৃশ্য রেকর্ড করিনি। হঠাৎ করে লক্ষ্য করলাম একজন (ভাই) সেলফি তুলার জন্য সাকিবের কাছে এসে সেলফি তুলেন। একপর্যায়ে সাকিব ওই লোকের ওপর খেপে যান, তখন আমি দেখে বিষয়টি আঁচ করতে পেরে কুইক ক্যামেরা ওপেন করে দৃশটি ভিডিও শুট করলাম। তবে কমেন্টে অনেকেই বলেছেন সাকিব কাজটা ঠিকই করেছেন। আবার কিছু লোক সাকিবের বিরুদ্ধে নীতিবাচক কমেন্টও করেছেন। তারা বলেছেন, সাকিব একটা বেয়াদব।
আজমিনুর নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, সাকিব একদম ঠিক কাজ করেছেন, মানুষ কতটা ম্যানারলেস হলে নামাজের সময় পারমিশন ছাড়া সেলফি নিতে যায়। একজন সেলিব্রিটিকে এভাবে যেখানে সেখানে বিরক্ত না করাই ভালো।
সালমান জামিল নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, কি একটি অবস্থা, এটি কি সেলফি তোলার জায়গা। এখানে বুঝা যাচ্ছে- সাকিব যদি সেলফি তুলতে দিত তাহলে সবাই আগ্রহী প্রকাশ করত। এখানে সাকিব ঠিক কাজ করেছেন।
রায়হান আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, নামাজের সময় ছবি না তোলাই ভালো। সাকিব ছবি না তুলতে দিয়ে অনেক ভালো কাজ করেছেন।
মো. তারিক নামে একজন লিখেছেন, সাকিবের অহংকার বেশি। এরে দেখলে আমার শরীর খুব জলে। মেহেদী হাসান নামে একজন লিখেছেন, সাকিবের অহংকার বেশি।
শাহরিয়ার মাহমুদ নামে একজন লিখেছেন, বেয়াদব কখনও সভ্য হয় না। সাকিব কখনও ভালো মানুষ না। সে প্রায় সময়ই মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করে কথা বলে।