যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্য্যকরী কমিটির এক জরুরি সভা ১৩ এপ্রিল জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন রেস্টুরেন্টের পার্টি হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সহ সভাপতি এম ফজলুর রহমান এবং যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন যথাক্রমে দফতর সম্পাদক প্রকৌ: মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরান, গীতা ও বাইবেল থেকে পাঠ করে শোনানো হয় এবং পরে বাংলাদেশর অভ্যূদয়ের সকল গনতান্ত্রিক ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদান, ৫২-এর মহান ভাষা আন্দোলন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ পরিবারের অধিকাংশ সদস্য, ৩রা নভেম্বর জেল প্রকষ্ঠে নিহত জাতীয় ৪ নেতা, ২০০৪ এর ২১শে আগষ্টে গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
আলোচনা সভার শুরুতে সভার সভাপতি এম ফজলুর রহমান উপস্থিত নেতৃবৃন্দের সামনে জরুরী কার্য্যকরী সভার প্রেক্ষাপট তূলে ধরেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, 'ড. সিদ্দিকুর রহমান স্বৈরাচারী কায়দায় গত ১৩ বছর দল চালিয়েছেন। তিনি গঠনতন্ত্রের তোয়াক্কা করেন না। অনবরত মিথ্যাচার তার হাতিয়ার। আওয়ামী লীগসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে ভেঙ্গে বিলীন করেছেন। তার স্ত্রীসহ মাত্র হাতে গোনা ৫/৭ জন লোক তার সাথে আছে। এমতাবস্থায় তিনি বর্ধিত সভার নামে শূন্যপদ পূরণের জন্যে আবার আগামীকাল সভা আহবান করেছেন। কার্য্যকরী কমিটির মেজরিটি সদস্যের অনুমোদন ছাড়া কমিটিতে কোন পদ পূরণের কোন ক্ষমতা গঠনতন্ত্র তাকে দেয়নি।'
তার 'এহেন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা' জানিয়ে তিনি বলেন, 'অতীতেও তার এহেন পদ-বানিজ্য বৈধতা পায়নি, এবারও পাবে না। আসুন সম্মিলিতভাবে কমিটির ৯৫% সদস্যের মতামত নিয়ে আমরা একটি রেজ্যুলেশন করে জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রেরণ করি এবং সম্মেলনের মাধ্যমে একটি নতুন কমিটির দাবি জানাই।'
পরে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বক্তৃতায় তাদের স্ব স্ব মতামত ব্যাক্ত করেন।
সভায় অতিথি বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম, স্টেট আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শেখ আতিক, আওয়ামী লীগ নেতা আকতার হোসেন, শেখ হাসিনা মন্চের সভাপতি জালাল উদ্দিন জলিল, মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রুমানা আখতার, ছাত্রলীগ নেতা শেখ মো. জুয়েল, যুবলীগ নেতা খন্দকার জাহিদুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা মো. জাহিদ মিয়া প্রমুখ।