২০ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যা ৭ টায় জ্যাকসন হাইটস্থ নবান্ন পার্টি হলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির কো-চেয়ারম্যান সুনীল শুভ রায় যুক্তরাষ্ট্র আগমনে জাতীয় পার্টি যুক্তরাষ্ট্র শাখার এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আবদুর রহমান সভাপতিত্ব, সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী চান্দু পরিচালনা করেন। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জাপার উপদেষ্টা মাহাবুব রহমান চৌধুরী, সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট হারিস উদ্দিন আহমেদ, সহ সভাপতি শফিউল আলম, সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশিদ, কেন্দ্রীয় মহিলা নেত্রী কনিকা রায়, জাপার মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা জেসমিন আকতার চৌধুরী। সাংগঠনিক সম্পাদক মীর জাকির, কোষাধ্যক্ষ জি.এম ইলিয়াস, দপ্তর সম্পাদক আকতার কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব, সদস্য বসুদেব সাহা প্রমুখ।
প্রধান অতিথি সুনীল শুভ রায় তার বক্তব্যে বলেন, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বাংলাদেশে এক নতুন ধারার রাজনীতি প্রবর্তন করেছিলেন। তিনি ধ্বংস-নৈরাজ্য-হিংসা হানাহানির রাজনীতির বিপরীতে শান্তি-সমৃদ্ধি, সংস্কার, উন্নয়নের ইতিবাচক রাজনীতি প্রবর্তন করেছিলেন। দেশবাসী তার রাজনীতি গ্রহণ করেছিলো। তাঁর মৃত্যুর পর যিনি পার্টির নেতৃত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি পার্টিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি পার্টিকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন। সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পার্টিকে একটি বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করে জাতীয় পার্টিকে নিঃশেষ করে দিয়েছেন। সরকারের সাথে সমঝোতার নির্বাচন করে জাতীয় পার্টির বিপর্যয় চুড়ান্ত করেছেন। পল্লীবন্ধু এরশাদের নীতি আদর্শ প্রায় বিসর্জন দিয়েছেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবির জন্য দেশের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী পার্টি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা জিএম কাদেরকেই দায়ী করেছে। তিনি সরকারের সাথে সমঝোতা করে মাত্র ২৬টি আসন দয়ার দান হিসেবে গ্রহণ করে মাত্র ১১টি আসনে জয়লাভ করেছে। সারা দেশে মাত্র ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। আমরা জাতীয় পার্টির নিবেদিত প্রাণ নেতা কর্মীরা জিএম কাদেরের ব্যর্থতা মেনে নিতে পারি নাই। এমতাবস্থায় পার্টির ত্রাণকর্তা হিসেবে বেগম রওশন এরশাদ জিএম কাদের এবং মুজিবুল হক চুন্নুকে তাদের পদে থেকে অপসারণ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। এরশাদ গত ৯ মার্চ জাতীয় পার্টির ইতিহাসে সবচেয়ে সফল একটি জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা জাতীয় পার্টিতে নব জাগরণ সৃষ্টি করেছি। জাতীয় পার্টি এখন বেগম রওশন এরশাদের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ এবং এরশাদ পরবর্তী যেকোন সময়ের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সুসংগঠিত।
এখন দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্রের বিকাশ এবং সুস্থ রাজনীতির জন্য জাতীয় পার্টির আর কোনো বিকল্প নেই। আমরা পল্লীবন্ধু এরশাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাবো। দেশের মানুষ দুইটি রাজনৈতিক ধারার বিপরীতে তৃতীয় ধারার রাজনীতি প্রবর্তন করতে চাই। দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করাই হবে জাতীয় পার্টির লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য।