নিউইয়র্কে বুয়েটের ৯০ ব্যাচের মিলনমেলা

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৩ জুলাই ২০২৫, ১৩:৪৯


বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হলে বয়স যেন এক লাফে ফিরে যায় পুরোনো দিনে। তেমনি এক সময়ের ভেতর দিয়ে গেল বুয়েট '৯০ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হলো তাঁদের এক জমজমাট মিলনমেলা।
এইচএসসি ১৯৯০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বুয়েটে ক্লাস শুরু করেছিলেন ১৯৯২ সালের সেপ্টেম্বরে। সেই বন্ধুত্ব গড়ে ওঠার ৩৩ বছর পর তারা মিলিত হলেন আবার, স্মৃতির পাতায় ফিরে গেলেন যৌবনের দিনগুলোতে। কেউ এসেছেন নিউইয়র্কে কাছাকাছি স্টেট থেকে, কেউ বা বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য ও কানাডা থেকে। সপরিবারে অংশ নিয়েছেন প্রায় ২০০ জন।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি হোটেলের বলরুমে তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনের শুরু হয়। নিজেরাই জাতীয় সংগীত গেয়ে, কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠান। নিজেদের পরিবেশনায় গান, নাচ, আবৃত্তির পাশাপাশি চলেছে একে অন্যকে নতুন করে আবিষ্কারের আনন্দ।
শনিবার সকালের মূল আয়োজন ছিল হাডসন নদীর তীরে, সবার পরনে ছিল বুয়েট লোগো সংবলিত সাদা টি-শার্ট। এরপর আয়োজন ছিল চার ঘণ্টার একটি নৌবিহার—স্ট্যাচু অব লিবার্টির চারপাশ ঘুরে বেড়ানো, প্রাণখোলা আড্ডা, গান আর গল্প। ক্রুজ শিপের তিনটি তলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বন্ধুরা যেন প্রজাপতির মতো ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন, এক আড্ডা থেকে আরেক আড্ডায়।
সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় একটি টেকনিক্যাল সেমিনার এবং পরবর্তী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। ‘এক ঝাঁক প্রজাপতি ছিলাম আমরা’ গান দিয়ে শুরু, এরপর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নাচ, হাস্যরসাত্মক পরিবেশনা ও স্মৃতিচারণ। এরপরের আকর্ষণ ছিল নব্বই দশকের জনপ্রিয় দুই শিল্পী চন্দন ও বাবনার কনসার্ট। বাবনা নিজেও বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তাদের গানে যেন ফিরে এসেছিল ছাত্রজীবনের সেই কনসার্টের দিনগুলো। গভীর রাত পর্যন্ত চলেছে গানে-আড্ডায় এক অপূর্ব মিলনমেলা।
রোববার সকালে ছিল শেষ পর্ব—ব্রাঞ্চ আর বিদায় অনুষ্ঠান। সবার চোখে-মুখে তখন একরাশ আবেগ। কেউ কেউ বিদায় নিচ্ছেন, রেখে যাচ্ছেন একগুচ্ছ স্মৃতি।
দুপুরের পর সবাই জড়ো হন টাইম স্কয়ারে। সেখানেই হয় গ্রুপ ছবি তোলা। কিন্তু শুধু ছবি তুলে শেষ নয়, টাইম স্কয়ারের গ্যালারিতে তাদের তোলা সেই ছবি একসময় প্রদর্শিত হয় বিশাল স্ক্রিনে। টাইম স্কয়ার জুড়ে তখন যেন শুধু তাঁদেরই উচ্ছ্বাস, হাসি আর গান।