ইমিগ্রেশন হোয়াইট পেপার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক অধিকার হুমকির মুখে ফেলতে পারে

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৬ জুন ২০২৫, ১৩:৫২


যুক্তরাজ্যের হোম অফিস থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত ‘ইমিগ্রেশন হোয়াইট পেপার ২০২৫’ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি আইনজীবী ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা। 
পূর্ব লন্ডনে সোসাইটি অব ব্রিটিশ বাংলাদেশি সলিসিটরস (এসবিবিএস) আয়োজিত এক সেমিনারে তাঁরা বলেন, এই আইনি সংস্কার বাস্তবায়িত হলে অভিবাসী পরিবার, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা এবং মানবাধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন এসবিবিএসের সভাপতি এবং দ্য ল সোসাইটি অব ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস-এর কাউন্সিল সদস্য সলিসিটর মুহাম্মদ নুরুল গাফ্ফার। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের খ্যাতনামা আইনজীবী ও কিংস কাউন্সিল ব্যারিস্টার মানজিৎ গিল। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিচারক বেলায়েত হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ল সোসাইটির ডেপুটি ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্রেট ডিক্সন। সঞ্চালনায় ছিলেন সলিসিটর মুনসাত হাবিব।
বক্তারা বলেন, প্রস্তাবিত আইন কার্যকর হলে বহু অভিবাসী পরিবার বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতাও প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। হোয়াইট পেপারের অস্পষ্টতা ও এর মানবিক ও আইনি পরিণতি নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলেন তারা।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার মাসুদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহ মেজবাউর রহমান, সলিসিটর আব্দুল হালিম, ফজলে এলাহী, সুহেল আহমেদ ও ফেরদৌসী কবির।
একটি বিশেষ আলোচ্য বিষয় ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) আইনি গবেষণায় ব্যবহার। বক্তারা বলেন, আইনজীবীদের জন্য এআই হতে পারে একটি সহায়ক মাধ্যম, তবে এর ব্যবহারে সচেতনতা ও নৈতিকতা বজায় রাখা জরুরি। ব্রেট ডিক্সন বলেন, গুগলের নোটবুক এলএম-এর মতো প্ল্যাটফর্ম আইনি গবেষণার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে, তবে যাচাইকৃত তথ্যের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
প্যানেল আলোচনায় বক্তারা একমত হন— এআই এর চ্যালেঞ্জ প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতায় নয়, বরং ব্যবহারকারীর দক্ষতা ও দায়বদ্ধতার অভাবে। তাঁরা এআইকে ‘সহায়ক গবেষণা হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহারের পক্ষে মত দেন, তবে তা যেন নৈতিক কাঠামোর বাইরে না যায়—সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।