করোনা মহামারির পরে কুয়েত প্রবাসীদের জীবন আরও সুন্দর ও সহজ করতে উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। এখন থেকে স্টুডেন্ট ভিসা, প্রবাসী বা ডিপেনডেন্সি ভিসায় দেশটিতে অবস্থানকারীরা ছয় মাসের বেশি সময় কুয়েতের বাইরে থাকতে পারবেন। এটি ইকামা বা ওয়ার্ক পারমিটধারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হিসেবে গণ্য হবে।
তবে কুয়েতে গৃহকর্মী ভিসায় থাকা কোনো প্রবাসী এ সুযোগ পাবেন না। এ ক্ষেত্রে যদি কোনো প্রবাসী গৃহকর্মী ছয় মাসের বেশি কুয়েতের বাইরে থাকেন তবে তাদের স্পনসরদের নির্ধারিত চুক্তিতে সই করতে হবে। অন্যথায় তাদের রেসিডেন্সি পারমিট বা কুয়েতে বসবাসের অনুমোদন বাতিল করা হবে।
কুয়েত টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব প্রবাসী কুয়েতের বাইরে আছেন তাদের অবশ্যই ছয় মাস শেষ হওয়ার আগেই দেশটিতে প্রবেশ করতে হবে। এই নিয়ম না মানা হলে রেসিডেন্সি পারমিট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। আকামা নম্বর ১৮, ২২ এবং ২৪ সবার জন্য একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে বলে জানিয়েছে রেসিডেন্সি বিভাগ।
এদিকে, প্রবাসীদের ভোগান্তি কমাতে শিগগিরই বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু করতে যাচ্ছে কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাস। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে নিবন্ধন। আগামী সেপ্টেম্বরে প্রবাসীদের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র পৌঁছাবে বলে জানান দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান।
রাষ্ট্রদূত জানান, দেশটিতে অবস্থানরত প্রবাসীদের নিবন্ধনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরেই প্রবাসীদের হাতে এনআইডি পৌঁছাবে। দূতাবাসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণের মাধ্যমেও আবেদন করা যাবে। সার্বিক কাজ পরিদর্শনে শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে নির্বাচন কমিশনের রেজিস্ট্রেশন দল কুয়েতে যাবে।