৯০ দশকের প্রধান নায়িকা শাবনূর কখনও ফেসবুকবান্ধব ছিলেন না। এমনকি তার ফেসবুক আইডি বা পেইজও ছিল না। তবে শেষ ক’বছরে তিনি এখানটায় বেশ অ্যাকটিভ হন নিজের খোলা প্রোফাইল থেকে। যদিও সেটি ভেরিফায়েড নয়।
বিপরীতে গত ১৫ বছর ধরেই ফেসবুকে শাবনূরের নামে অসংখ্য প্রোফাইল ও পেইজ রয়েছে। এমনকি আসল শাবনূর ফেসবুকে অ্যাকটিভ হওয়ার পরেও নকল শাবনূরের উপদ্রব কমেনি। অবশেষে সেটির চূড়ান্ত পরিণতি ঘটলো। জানা গেলো, আসল শাবনূরের আইডি বা পেইজ ভেরিফায়েড না হলেও এরই মধ্যে ফেসবুকের ব্লু টিক মার্ক পেয়েছে একটি নকল পেইজ!
এই চাঞ্চল্যকর তথ্যটি চিত্রনায়িকা নিজেই জানিয়েছেন। তিনি উদ্বিগ্ন প্রতিক্রিয়া জানান। আশঙ্কা করছেন, এর সঙ্গে প্রতারক চক্র জড়িত থাকতে পারে।
শাবনূর গণমাধ্যমে বলেন, ‘যারা আমার নামে পেজ ভেরিফায়েড করেছে, তাদের উদ্দেশ্য মোটেও সৎ নয়। এই প্রতারক চক্র আমার নাম ব্যবহার করে নানা ধরনের অপরাধ ও অপকর্ম করতে পারে। হয়তো এরই মধ্যে করেছেও, যা আমরা কেউ জানি না। এমনকি যারা এই কাজটি করেছে, তাদের কাছে হয়তো বা আমার পাসপোর্ট কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য আছে। নইলে তো ভেরিফায়েড করতে পারতো না। সবাই এটি সম্পর্কে আমাকে জানানোর পর বিষয়টি নিয়ে আমি চিন্তিত।’
শাবনূর আরও বলেন, ‘আমি ফেসবুক ব্যবহার করতাম না। তখন আমার নামে অনেক ফেসবুক আইডি বানিয়েছিল, তা নিয়ে কিছু বলিনি। পরে আমি নিজে ফেসবুক ব্যবহারের পর সবাই জানতে পেরেছেন কে আসল কে নকল। এরপর অনেকে আমাকে বলেছিল, আমি যেন ফেসবুক পেজ বা আইডি ভেরিফায়েড করে রাখি, তাহলে সবাই নিশ্চিত হতে পারবেন কে আসল শাবনূর, কে নকল। কারণ ফেসবুকে আমার নামে শত শত আইডি ও পেজ। এতে প্রতারক চক্ররা খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না। কিন্তু আমি নিজে ফেসবুক পেজ বা আইডি ভেরিফায়েড করার বিষয়টা নিয়ে খুব একটা গুরুত্ব দিইনি। এখন মনে হচ্ছে ভেরিফায়েড করে নিলেই ভালো হতো।’
শাবনূর জানান, তিনি এরই মধ্যে আইনি পদক্ষেপের প্রস্তুতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) শেষে এটি পুলিশের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের কাছেও অবহিত করবেন।
চিত্রনায়িকা আরও বললেন, ‘আমি নিশ্চিত হয়েছি, বাংলাদেশ থেকে কেউ এই পেজ চালায়। এর পেছনে একাধিক মানুষ জড়িত আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ থাকবে, এ ধরনের প্রতারক চক্রের পরিচয় যেন তারা সামনে আনেন।’
আসল শাবনূর যে পেজটিকে নকল দাবি করছেন সেটিতে মোট ফলোয়ার ৬ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি।
বলা দরকার, দেশের আরেক জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ভেরিফায়েড পেইজটিও দীর্ঘসময় রয়েছে অন্যের দখলে।