অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে ৩ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ। আজ বৃহস্পতিবার এই সংখ্যার ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। বাস্তুচ্যুতদের অনেকেই জাতিসংঘের আশ্রয় শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছেন হাসপাতালে।কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
শনিবার সকালে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। হামাসের হামলার জবাবে পাল্টা রকেট ও বোমা হামলা করে ইসরায়েলের বাহিনী। গাজা উপত্যকার নাগরিকরা আতঙ্কে ঘর ছাড়তে শুরু করেন। এরই মধ্যে গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎসহ খাদ্য, পানি ও জ্বালানি সরবরাহও বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে দুই সহস্রাধিক মানুষ।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনের বসবাস। শনিবার সংঘাত শুরুর পর থেকে এখানে পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খাবার ও পানি বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। একইসঙ্গে চালাতে থাকে বিমান হামলা। এতে করে লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে। জাতিসংঘ বলছে, গাজাবাসীদের এখন কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।
ইসরায়েলের এই আচরণকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সাবেক প্রধান কিনেথ রোথ। তিনি বলেন, যখন মানবিক সহায়তা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তখন গাজা উপত্যকাকে বন্দি করে ফেলেছে ইসরায়েল।
প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর যে শাস্তিমূলক আচরণ ইসরায়েল করছে, হামাসের হামলার ‘প্রতিশোধ’ হিসেবে তা ন্যায্য নয়।