ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের চলমান যুদ্ধের ষষ্ঠ দিনেও দুপক্ষের হামলা-পালটা হামলা চলছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ইসরাইল সফর করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ইসরাইলের পাশে যুক্তরাষ্ট্রের থাকার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন। ব্লিংকেন বলেন, হামাস ইসরাইলকে ধ্বংস করে দিতে চায়। যে বা যারা শান্তি এবং ন্যায়বিচার চান, তারা অবশ্যই হামাসের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা জানাবেন।
তিনি বলেন, হামাসের একমাত্র এজেন্ডা হচ্ছে-ইসরাইলকে ধ্বংস করা আর ইহুদিদের হত্যা করা। সেই সঙ্গে ব্লিংকেন হুঁশিয়ার করে বলেন, প্রত্যেক দেশের সাধারণ নাগরিকের ক্ষয়ক্ষতি রোধে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। সব ধর্ম, বিশ্বাস আর দেশের সাধারণ মানুষই মারা যাচ্ছেন। তাদের রক্ষায় সম্ভাব্য সব ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।
ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে যুক্তরাষ্ট্র সব সময় পাশে থাকবে বলেও ব্লিংকেন উল্লেখ করেন। শনিবারের হামাসের হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন মার্কিন নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে ব্লিংকেন জানান।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন হামাসকে ‘পাকা শয়তান’ বলে উল্লেখ করে ঠিক কথাই বলেছেন। আইএসআইএসকে যেভাবে উৎখাত করা হয়েছে, হামাসকে ঠিক একই ভাবে উৎখাত করা হবে। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী থেকে তাদের মূলোৎপাটন করা হবে।
তিনি বলেন, এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এখনই উত্তম সময়। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের উঠে দাঁড়াতেই হবে। নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা একটি অবস্থান নিয়েছি, আমেরিকাও একটি অবস্থান নিয়েছে।’
ইসরাইলের ভয়াবহ বিমান হামলায় গাজায় এক হাজার ৪১৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলের হামলায় গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৪১৭ জনে পৌঁছেছে। আর এতে আহত হয়েছেন ৬ হাজার ২০০ জন।
এসব নিতদের মধ্যে কমপক্ষে ২৫০ জনই বৃহস্পতিবার সকালে ভয়াবহ বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।
ইসরাইলের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় শনিবার থেকে এ পর্যন্ত তারা চার হাজার টন ওজনের প্রায় ছয় হাজার বোমা বর্ষণ করেছে।