এমসি আবদুল মতিন। ফিলিস্তিনির ১৩ বছরের তরুণ। যে বয়সে তার ফুটবল বা ভিডিওগেম খেলা উচিত, সে সময়ে মতিন যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করছে, প্রাণঘাতী হুমকির মধ্যে জীবনযাপন করছে। তবে নিজের মত করে জনগণের নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলার চেষ্টা করছে সে। অস্ত্র হিসেবে মতিন ব্যবহার করছে তার কণ্ঠ।
১৩ বছর বয়সী এ তরুণ একজন র্যাপার, ইতিমধ্যেই মারাত্মক চারটি যুদ্ধ দেখে ফেলেছে সে। দারিদ্র্য, সহিংসতা এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনের মানুষের বিপুল ক্ষতি উঠে আসে তার গানে। এই কিশোর তার শক্তিশালী গানের মাধ্যমে গাজায় বোমা হামলার বিকট শব্দে ছোট ভাই ও বোনের চিৎকার এবং মায়ের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টার কথা তুলে ধরেছে। বর্ণনা করেছে কিভাবে তার দাদা-দাদীকে তাদের বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছিল।
বর্তমানে এই কিশোর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছে। সেখানেই ছুটছে তার গানের ক্যারিয়ার। তবে ফিলিস্তিনে যুদ্ধ ও দুর্দশাই তার গানের মূল বিষয়। র্যাপার হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়ও সে। গানগুলোর ভিউ ইউটিউবে মিলিয়নেরও বেশি।
নিজে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করলেও মতিনের পরিবার থাকে গাজা উপত্যকায়। অবরুদ্ধ এই অঞ্চলে গত ৯ দিন ধরে অনবরত বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। নিজের পরিবার নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে মতিন। বলছেন, `আমার নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে। এই কঠিন সময়ে আমি পরিবারের পাশে নেই। আমার এখন সেখানে থাকা উচিত ছিল, আমার ভাইবোনদের জড়িয়ে ধরে থাকার কথা ছিল।‘