আমিরাতের মধ্যস্থতায় ৪৭৮ বন্দি বিনিময় করলো রাশিয়া-ইউক্রেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:১০

সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মধ্যস্থতায় ৪৭৮ জন বন্দি বিনিময় করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম একবারে এত সংখ্যক বন্দি বিনিময় করলো দেশ দুটি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ২৩০ ইউক্রেনীয় বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে রাশিয়া। যাদের মধ্যে রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক। অন্যদিকে, ২৪৮ রাশিয়ানকে মুক্তি দিয়েছে ইউক্রেন, যাদের মধ্যে ২২৪ সেনা এবং ৬ জন বেসামরিক নাগরিক। 
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, আমাদের নাগরিকরা বাড়ি ফিরে এসেছেন। আজ আমরা রাশিয়ার কাছ থেকে ২০০ জনেরও বেশি যোদ্ধা ও বেসামরিক নাগরিককে ফিরিয়ে এনেছি।’।
আবার এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, বন্দি বিনিময়ের এ সমঝোতা বেশ কঠিন ছিল। তবে উভয় পক্ষই চুক্তিতে মধ্যস্থতা করার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
বিবিসি বলছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া সর্বাত্মক সামরিক আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে উভয় দেশ বেশ কয়েক দফা বন্দি বিনিময় করেছে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট গত মাসে বলেছিলেন, রাশিয়ার কিছু নির্দিষ্ট শর্তের কারণে এ প্রক্রিয়াটি ধীর হয়ে গেছে।
ইউক্রেন বলেছে, মুক্তিপাওয়া তাদের সৈন্যদের মধ্যে কৃষ্ণসাগরের দ্বীপ স্নেক আইল্যান্ডের সাতজন যোদ্ধা, চেরনোবিল অঞ্চলে বন্দি হওয়া ন্যাশনাল গার্ডসের সদস্য ও মারিউপোলের আজভস্টাল স্টিল প্ল্যান্টের যুদ্ধের সময় আটক সৈন্যরাও রয়েছেন। তাছাড়া মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ছয়জন বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন।
গত মাসে ইউক্রেন জানায়, তারা ৪৮ দফায় বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়ায় রাশিয়ার বন্দিদশা থেকে প্রায় ২ হাজার ৫৯৮ জনকে মুক্ত করেছে। রাশিয়ার বন্দিদশা থেকে মুক্ত হওয়া কিছু ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দি বলেছেন, তারা মারধর ও বৈদ্যুতিক শকসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।
সূত্র: আল জাজিরা