রাশিয়ার জন্য নতুন ড্রোন বানাল ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২৫

রাশিয়ার জন্য নতুন ধরনের দূরপাল্লার ড্রোন তৈরি করেছে ইরান, যা ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহৃত হবে। নতুন এ ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনে হামলা এবং নজরদারি করতে পারবে রাশিয়া। খবর স্কাই নিউজের। 
প্রতিবেদনে বলা হয়, শাহেদ–১০৭ নামের এ ড্রোনটির রেঞ্জ ৯৩২ মাইল। এ ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনের ব্যয়বহুল পশ্চিমা যুদ্ধসরঞ্জাম শনাক্ত ও ধ্বংস করা সম্ভব।
এমন ড্রোন তৈরি রাশিয়ার প্রতি ইরানের সমর্থনের ইঙ্গিত। আনুমানিক ২০ লাখ ডলারের চুক্তিতে ড্রোনের কয়েকটি ইউনিট রাশিয়াকে দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। 
সূত্র অনুসারে, শাহেদ সিরিজের এ ড্রোনটির ডানার দৈর্ঘ্য ১০ ফুট এবং ড্রোনের দৈর্ঘ্য ৮ ফুট। যুদ্ধযান থেকেই এটি ওড়ানো যাবে। রাশিয়ার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মধ্য ইরানের একটি বিমানঘাঁটিতে এ ড্রোন পরীক্ষা করা হয়। 
ড্রোনটির মধ্যে লাইভস্ট্রিমিং সুবিধা যুক্ত করা হতে পারে, যেন তা চালককে রিয়েল টাইমে লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে।   
ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষেত্রে রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে ইরান। এ প্রতিবেদনের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 
তবে ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্র ও সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধের শুরু থেকে রাশিয়াকে ইরান বেশ কয়েক ধরনের ড্রোন সরবরাহ করেছে। 
এর মধ্যে রয়েছে তুলনামূলক কম ব্যয়বহুল শাহেদ–১৩৬ আত্মঘাতী ড্রোন। যুদ্ধজুড়ে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনীকে চাপে রাখতে দেশটির অবকাঠামো লক্ষ্য করে এ ড্রোন ছোড়া হয়েছে।  
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ইউক্রেনের একটি সূত্র স্কাই নিউজকে বলে, ‘উল্লিখিত ধরনের ড্রোনগুলোর সম্ভাব্য সরবরাহ নিয়ে আমরা বেশ উদ্বিগ্ন।’ 
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ ব্যাপকভাবে ইরানের ড্রোন সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল। 
সূত্রের দাবি, রাশিয়া ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আরও ব্যয়বহুল আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহারে বাধ্য করতে ড্রোনগুলোর গতি আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
শাহেদ–১৩৬ ড্রোনের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার জন্য ইউক্রেনকে ৫ লাখ ডলার পর্যন্ত মূল্যের আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে হচ্ছে। শাহেদ–১৩৬ ড্রোনের প্রতিটির আনুমানিক মূল্য ২০ হাজার ডলার। 
একটি নিরাপত্তা সূত্র বলছে, শুধু নতুন ড্রোনই নয়, এ চুক্তির আওতায় ইউক্রেনে ব্যবহার করার জন্য ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে।