গাজার বেসামরিক জনগণের ওপর হামাস হামলার পরিকল্পনা করছে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (১৮ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, আসলেই এ ধরনের হামলা সংঘটিত হলে তা সরাসরি যুদ্ধবিরতি চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
অবশ্য সম্ভাব্য হামলার বিস্তারিত কোনও তথ্য এবং তথ্য প্রাপ্তির কোনও সূত্রের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে চুক্তির অন্যান্য গ্যারান্টর— মিশর, কাতার ও তুরস্ককে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকর হয়েছে। এর আওতায় হামাসের হাতে থাকা জীবিত সব জিম্মি মুক্তি পেয়েছে এবং মৃতদের মরদেহ ধাপে ধাপে ইসরায়েলে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েল তার কারাগার থেকে ২৫০ ও গাজা থেকে আটক এক হাজার ৭১৮ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হামাস যদি এই হামলা চালায়, তবে গাজার জনগণের নিরাপত্তা ও যুদ্ধবিরতির অখণ্ডতা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মার্কিন অভিযোগের বিষয়ে হামাসের তরফ থেকে এখনও কোনও জবাব দেওয়া হয়নি।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, হামাস যদি গাজায় বেসামরিক মানুষ হত্যা অব্যাহত রাখে, তবে তাদের নিশ্চিহ্ন করা ছাড়া কোনও বিকল্প থাকবে না।
তবে পরবর্তীতে তিনি স্পষ্ট করেন, গাজায় সেনা পাঠাবে না যুক্তরাষ্ট্র।
গত সপ্তাহে বিবিসি ভেরিফাই যাচাই করা ভিডিওতে দেখা গেছে, হামাসের বন্দুকধারীরা গাজার একটি জনাকীর্ণ চত্বরে আটজন মানুষকে গুলি করে হত্যা করে। নিহতদের হাত পেছনে বাঁধা ছিল। যদিও ভিডিওতে থাকা মুখোশধারীদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি, কয়েকজনকে হামাসের সবুজ হেডব্যান্ড পড়া অবস্থায় দেখা গেছে।
শনিবার ইসরায়েল জানায়, তারা গাজা থেকে হামাসের ফেরত পাঠানো আরও দুইজনের মরদেহ পেয়েছে, যাদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। এ পর্যন্ত মোট ২৮ জন মৃত বন্দির মধ্যে ১০ জনের মরদেহ ফেরত এসেছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শনিবার বলেন, হামাস সব মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়ার আগ পর্যন্ত গাজা ও মিশরের রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ থাকবে। এই ক্রসিং গাজাবাসীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখান দিয়েই অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য গাজার বাইরে নেওয়া হয়, আর অনেকে এখান দিয়েই ঘরে ফেরেন।