নাইক্ষ্যংছড়ির ওপারে মিয়ানমারের স্থলসীমান্ত আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে 

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৭
নাইক্ষ্যংছড়ির ওপারে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপিকে হটিয়ে নিরাপত্তা চৌকি দখল করে আরাকান আর্মির সশস্ত্র যোদ্ধাদের পাহারা 

মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সঙ্গে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘর্ষ কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী সীমান্তে এসে থেমে গেছে। 
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের মিয়ানমার অংশ থেকে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপার পর্যন্ত মিয়ারমার অংশের সীমান্তরেখার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে আরাকান আর্মি। 
মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তরেখার সমুদ্রপথ ও নাফ নদীর সীমান্তরেখা বাদে স্থলপথের সীমান্তরেখা গতকাল (বুধবার) রাত পর্যন্ত আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন বলেন, সীমান্তে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। একজন রোহিঙ্গা নাগরিককেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। 
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে পরাস্ত করে আরাকান আর্মি সীমান্তে তাদের ক্যাম্প দখল করে নিয়েছে। নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার সময় প্রচণ্ড গোলাগুলি হয়েছে। 
তুমব্রু এলাকার সীমান্ত-লাগোয়া জনপদে বাস করেন এমন ১৫ জনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের একই ভাষ্য, আরাকান আর্মি মিয়ানমার সীমান্তে বিজিপির কাছ থেকে ক্যাম্পের দখল পুরোপুরি নিয়ে গেছে। এ কারণে গোলাগুলির মাত্রা কমেছে। এখন হয়তো জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য নতুন কোনো কৌশল নিতে পারে। তবে  মিয়ানমারের সীমান্তরেখা সরকারি বাহিনীর হাতে নেই। নাইক্ষ্যংছড়ির ওপারে মিয়ানমারের যে সীমানারেখা থেকে শুরু  করে টেকনাফের আগে হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপার পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহীরা নিয়েছে। এখন তারা টেকনাফের ওপারে মিয়ানমারের সীমানা  ধরে এগোচ্ছে।