পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ইমরান খানের তেহরিক-ই-পাকিস্তান (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এ পর্যন্ত ৯৫টি আসনে জয়লাভ করেছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন)। তারা পেয়েছে ৬৫টি আসন। আর বিলওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫২ আসন। জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ২৬৫ আসনের মধ্যে ২৩৪ আসনের ফল এটি। চূড়ান্ত ফল এখনো জানা যায়নি।
দেশটির জাতীয় পরিষদে সরকার গঠন করতে অন্তত ১৩৪ আসনে জয় প্রয়োজন। তবে কোনো দলই এ লক্ষ্য অর্জন করতে পারছে না। তাই জোট গঠন ছাড়া আর উপায় নেই দলগুলোর।
ইতোমধ্যেই জোট গঠনে মরিয়া হয়েছেন পিএমএল-এন সুপ্রিমো নওয়াজ শরিফ। তিনি বলেছেন, জোট সরকারের জন্য তার দল পিপিপি, এমকিউএম-পি, জেআইআই-এফের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ইমরানপন্থি স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও পিএমএল-এনে যোগ দেওয়ার আহ্বান করেছেন তিনি।
নওয়াজ শরিফ জানিয়েছেন, তিনি তার ছোট ভাই শাহবাজকে জোট সরকার গঠনের জন্য পির আসিফ আলী জারদারি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ফজলুর রেহমান এবং এমকিউএম-পির খালিদ মকবুল সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন।
পিএমএল-এন নেতা আরো বলেছেন, পাকিস্তান বর্তমানে যে সমস্যার মধ্যে রয়েছে তা থেকে বের করে আনতে সব রাজনৈতিক দলের একসঙ্গে বসে সরকার গঠন করা দরকার।
পাকিস্তানকে এই সংকট থেকে বের করে আনতে দেশের সব প্রতিষ্ঠান, প্রত্যেকের একসঙ্গে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করা উচিত উল্লেখ করে নওয়াজ বলেন, এটা সবার পাকিস্তান, শুধু পিএমএল-এনের নয়। সবার উচিত মিলেমিশে বসে পাকিস্তানকে সমস্যা থেকে বের করে আনা।
এদিকে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনি ফল ঘোষণা হওয়ার আগেই নিজের দলকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন নওয়াজ শরিফ। তিনি এক ভাষণে বলেছেন, নির্বাচনে একক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি আসন দখল করেছে পিএমএল-এন।
তার এ দাবির সমালোচনা করেছেন পিটিআই নেত্রী শিরিন মাজারি। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, সরকার গঠনের সামর্থ্য নেই তবুও নওয়াজ এমন ভাব করছেন যেন নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গেছেন।