পাকিস্তানে ভাগাভাগির সরকার

আড়াই বছর করে প্রধানমন্ত্রী হবেন নওয়াজ-বিলওয়াল!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:১৮

পাকিস্তানে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে সরকার গঠন করতে কোনো দলই ন্যূনতম ১৩৪টি আসন না পাওয়ায় দেশটির ক্ষমতায় কে বসতে যাচ্ছেন তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। জোট সরকার গঠন করতে আলোচনা চালাচ্ছে বড় দলগুলো। 
২৬৫টি আসনে অনুষ্ঠিত ভোটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯৫টি আসনে বিজয়ী হয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৫টি আসন পেয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫৪টি আসন পেয়েছে বিলাওয়াল ভু্ট্টো জারদারির পিপিপি। 
ইমরান খানের দল সর্বোচ্চ আসন পেলেও তাদের সরকার গঠনের সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ দলটি পিএমএল-এন বা পিপিপি কারও সাথে জোট গড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে।
জোট সরকার গঠনে গত কয়েকদিন ধরে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে পিএমএল-এন ও পিপিপি। তবে প্রধানমন্ত্রীর পদ নিয়ে মতানৈক্য থাকায় দল দুটি এখনও একজোট হতে পারেনি।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে পিএমএল-এন এবং এবং পিপিপি’র নেতারা সরকার গঠনের ক্ষেত্রে ক্ষমতা ভাগাভাগির কথা ভাবছেন। দল দুটি পাঁচ বছর মেয়াদি সরকার গঠনে আড়াই বছর করে দুজন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছে। অর্থাৎ পিএমএল-এন নেতা আড়াই বছর এবং পিপিপি নেতা আড়াই বছর করে প্রধানমন্ত্রী হবেন।
জিও নিউজ বলছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের পর, পিএমএল-এন এবং পিপিপি’র মধ্যে গতকাল রোববার প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রিত্ব ভাগাভাগির ধারণা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে পিপিপি-পার্লামেন্টারিয়ান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল-ভুট্টো জারদারি এবং পিএমএল-এন থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে পিএমএল-এনের নেতারা পিপিপি নেতাদেকে জোট সরকার গঠনের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেন। এরপর ক্ষমতা ভাগাভাগির বিষয়টি উঠে আসে। তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি দল দুটি।