পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের সঙ্গে জোটকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটির মজলিস-ই-ওয়াহদাত-ই-মুসলিমিন (এমডব্লিউএম) প্রধান আল্লামা রাজা নাসির আব্বাস। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তিনি বলেছেন, ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর ইমরানের পাশে দাঁড়িয়েছিল তার দল এবং শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখবে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর জানিয়েছে।
জিও নিউজকে আল্লামা আব্বাস বলেছেন, আমরা পাকিস্তানে ঐক্য ও সমৃদ্ধি চাই। আমাদের দলের কোনও লোভ নেই এবং ইমরানের প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর কাছে কোনও কিছু দাবি করা হয়নি।
পিটিআইকে দমনে আইনের ব্যবহারের নিন্দা জানিয়েছেন এমডব্লিউএম নেতা। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে একটি এজেন্ডার মাধ্যমে কোনও নির্দিষ্ট দলকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরা উচিত না।
তিনি বলেছেন, আমরা ইমরানকে বলেছি রক্তের শেষ বিন্দু পর্যন্ত আমরা তার নীতির সঙ্গে আছি।
এর আগে পিটিআই মুখপাত্র রাউফ হাসান বলেছেন, কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে সরকার গঠনের জন্য এমডব্লিউএম-এর সঙ্গে জোট গঠন করবেন তারা। ইমরান খান জোট গঠনের অনুমতি দিয়েছেন। 
তিনি বলেছেন, জামায়াত-ই-ইসলামির সঙ্গে খাইবার পাখতুনখোয়াতে জোট গঠন করবে পিটিআই। এতে সংরক্ষিত আসন পাওয়া যাবে। সরকার গঠন নিয়ে ইমরান খানের স্পষ্ট বার্তা হলো, যারা নির্বাচনে জিতেছে সরকার গঠনের অধিকার তাদের।
কয়েকটি মামলায় ৩০ বছরের বেশি কারাদণ্ড ভোগ করছেন ইমরান খান। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তার দল পিটিআই অংশগ্রহণ করতে পারেনি। তবে ভোটে দলটির সমর্থন পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন।
জিও নিউজের তথ্য অনুসারে, সাধারণ পরিষদের ২৬৪ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯২ আসনে জয় পেয়েছেন ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ৭৯ আসন পেয়েছে পিএমএল-এন এবং পিপিপি পেয়েছে ৫৪ আসন। মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। একক বৃহত্তম দল হয়েছে পিএমএল-এন। পিপিপির সঙ্গে জোট সরকার গঠনে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দলটি।
দলগতভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় ইমরান সমর্থিত স্বতন্ত্র জয়ী প্রার্থীদের কোনও একটি নিবন্ধিত দলে যোগদান করতে হবে। তা না হলে স্বতন্ত্ররা সংরক্ষিত আসনের ভাগ পাবেন না।