ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় বিধ্বস্ত শহর আভদিভকা থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। দেশটিতে গোলাবারুদের তীব্র ঘাটতি দেখা দেওয়ায় শহরটি থেকে তাদের প্রত্যাহার করা হলো।
শনিবার ভোরে এই তথ্য জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় নতুন সেনাপ্রধান। খবর রয়টার্সের। নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল ওলেক্সান্ডার সিরস্কি বলছিলেন, ২০২৩ সালের মে মাসের পর আভদিভকা শহরে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি করেছে রাশিয়া। ওই বছর রুশ সেনারা বাখমুত শহর দখল করেছিল।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কংগ্রেসে কয়েক মাস ধরে মার্কিন সামরিক সহায়তা বিলম্বিত হওয়ায় ইউক্রেনে গোলাবারুদের তীব্র ঘাটতির দেখা দিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে যুদ্ধক্ষেত্রে। তাই রুশ বাহিনী আভদিভকা শহরের চারপাশ ঘিরে ফেলবে এমন আশঙ্কার মধ্যে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রত্যাহার করেছে দেশটি।
গত সপ্তাহে একটি বড় ধরনের অস্থিরতার মধ্যে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব গ্রহণ করেছিলেন জেনারেল ওলেক্সান্ডার সিরস্কি।
তিনি বলেছিলেন, যুদ্ধের আগে ৩২ হাজার মানুষের বসবাস ছিল শহরটিতে। এবার ইউক্রেনীয় বাহিনীও প্রায় জনশূন্য এই শহর ছেড়ে আরও নিরাপদ অবস্থানে ফিরে গেছে।
সশস্ত্র বাহিনীর একটি বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, আমি শহরটি থেকে আমাদের ইউনিটগুলো প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একই সঙ্গে চারদিক থেকে ঘেরাও হওয়ার আগেই সেনাদের জীবন ও স্বাস্থ্য রক্ষায় আরও অনুকূল লাইন থেকে প্রতিরক্ষামূলক স্থানে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের প্রায় দুই বছর পর শহরটি হারাল ইউক্রেন।
তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ বিষয়টি ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা অনুমোদন কতটা জরুরি তারই জানান দিচ্ছে। শনিবার সকালে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ভাষণ দেবেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ সময় এ বিষয়টি উল্লেখ করে আরও জরুরি সামরিক সহায়তার জন্য পশ্চিমাদের চাপ দিতে পারবেন তিনি।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার সতর্ক করে বলেছিলেন, ইউক্রেনকে একটি নতুন মার্কিন সামরিক সহায়তা প্যাকেজে দিতে দেরি করায় দেশটিতে গোলাবারুদের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এর কারণে আভদিভকা শহর হারাতে পারে ইউক্রেন।