কানাডা প্রথমবারের মতো একজন নারীকে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। এর মধ্যমে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সর্বোচ্চ পদে নারীদের নিয়োগ দেওয়ার ধারা অব্যাহত রাখলেন।
বুধবার লেফটেন্যান্ট-জেনারেল জেনি ক্যারিগনানকে সশস্ত্র বাহিনীর সবচেয়ে ঊধ্র্বতন এই পদে নিয়োগের ঘোষণা দেন ট্রুডো।
লেফটেন্যান্ট-জেনারেল ক্যারিগনান এতোদিন কানাডার সশস্ত্র বাহিনীতে লিঙ্গবৈষম্য ও অসদাচরণ বন্ধের প্রচেষ্টায় দায়িত্বে ছিলেন। ১৮ জুলাই তিনি চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।
মূলত সামরিক প্রকৌশলী ক্যারিগনান তার ৩৫ বছরের সামরিক জীবনে আফগানিস্তান, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, ইরাক ও সিরিয়ায় সেনাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে ট্রুডো বলেন, “তার কর্মজীবনের ব্যতিক্রমী নেতৃত্বের গুণাবলী, শ্রেষ্ঠত্বের প্রতি অঙ্গীকার এবং সেবার প্রতি নিষ্ঠা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য একটি অসাধারণ সম্পদ।”
ক্যারিগনান এমন এক সময়ে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন যখন কানাডা তার প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর জন্য মিত্রদের চাপের মধ্যে রয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, কানাডার সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগের লক্ষ্য পূরণে লড়াই করছে এবং পুরানো সামরিক সরঞ্জামগুলি প্রতিস্থাপনে ধীর গতিতে চলছে।
গত নভেম্বরে দেশটির নৌবাহিনীর প্রধান বলেছিলেন, পরিষেবাটি ‘একটি সঙ্কটজনক অবস্থায়’ রয়েছে এবং ২০২৪ সালে তার মূল দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম নাও হতে পারে।
স্বীকৃত নারীবাদী ট্রুডো ২০১৫ সালের শেষের দিকে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই লিঙ্গ সমতা বৃদ্ধির জন্য পরিকল্পিত নীতি অনুসরণ করেছেন।
২০১৮ সালে তিনি ব্রেন্ডা লাকিকে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের প্রথম নারী প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। কানাডার শেষ দুইজন গভর্নর জেনারেল, যারা ব্রিটিশ রাজের আনুষ্ঠানিক প্রতিনিধি, তারাও নারী ছিলেন। ট্রুডোর পরামর্শেই তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।