ক্যাথরিন মালিনসের কথাই ধরুন। নিউইয়র্কের সিটি বাইক তার নিত্য দিনের বাহন। ৪৮ স্ট্রিট ৭ এভিনিউর সানসেট পার্কের একটি ডক থেকে প্রতিদিন বাইক নেন। আর কাজে যান। কিন্তু পথিমধ্যে তাকে প্রায়শঃই বিপাকে পড়তে হয়। কোনো না কোনো জটিলতায় পড়তে হয় বাইক নিয়ে।
অথচ একসময় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলো এই সিটি বাইক। গেলো বছর ৩০ মিলিয়ন সিটি বাইক ট্রিপ হয়েছে নিউইয়র্ক সিটিতে। অনেক নতুন নিউইয়র্কার এই বাইককে তাদের কাজে, স্কুলে কিংবা গন্তব্যের জন্য বেছে নিতে পছন্দ করেন। এমনকি সাইকেল চালাতে যারা পছন্দ করেন তাদের আনন্দ ভ্রমণেরও বাহন হয় এই সিটি বাইক।
কিন্তু ২০১৮ সারের পর থেকে বাইকের স্থানটি দখল করে নিয়েছে লিফট। ফলে বাইকগুলো আর তেমন চলে না। আর অব্যবহারে বাইকগুলো নষ্ট হতে থাকে। অনেক নেইবারহুডে এখন আর পর্যাপ্ত বাইক থাকেও না। ফলে বাইকে চড়া মানুষের সংখ্যাও দিনে দিনে কমছে। আর স্ট্যাটান আয়ল্যান্ডে কোনো সিটি বাইকই নেই।
বাইকগুলো নষ্ট হওয়ায় ভালো বাইক পাওয়াও মুশকিল। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের কমিউনিটি, বর্ণভিত্তিক কমিউনিটিগুলোবে সিটি বাইকের সার্ভিসের খুবই বাজে দশা। বিশেষ করে ব্রঙ্কসে বাইকগুলোর ৯০ শতাংশই এখন আর ব্যবহার যোগ্য নেই।
এজন্য বাইকের ব্যবহারকারীরা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবকেই দুষছেন। আর নির্ভর করতে না পারলে তার ব্যবহার কমে আসবে এটাই স্বাভাবিক।
কর্তৃপক্ষ অবশ্য এখনো আশা ছাড়েনি। সিটিকে সবুজ করে তুলতে তারা বাইকের ব্যবহার বাড়ানোয় বেশি জোর দিচ্ছেন। বাইকের লেন তৈরি করা হচ্ছে। সিটিকে ১.৫ মিলিয়ন বাইক প্রেমির বাস। তাদের সার্ভিস দিতেও এই ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি। ডিপার্টমেন্ট অব ট্রানজিট এ বিষয়ে কাজ করছে।
বাইক প্রেমির সংখ্যা দিন দিন বাড়বেই। কিন্তু সিটি বাইকের সেবা না বাড়ানো হলে হতাশাও বাড়বে। সেটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।