
প্রত্যাশিত লক্ষ্য পুরণে ব্যর্থ হওয়ায় হোয়াইট হাউস ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ইনফোর্সমেন্টে (আইস) বড় রদবদলের পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। দেশের বিভিন্ন ফিল্ড অফিসে বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তার বদলির প্রক্রিয়া চলছে এমন তথ্য জানিয়েছে পরিকল্পনার সঙ্গে পরিচিত তিনটি সূত্র।
এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো অভিবাসী বিতাড়ন প্রক্রিয়া আরও দ্রুত করা এবং আইসের কার্যক্রম জোরদার করা। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, প্রত্যাশিত লক্ষ্য পুরণে ব্যর্থ হওয়ায় হোয়াইট হাউস ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম বছরের মধ্যে ১০ লাখের বেশি অভিবাসী বিতাড়নের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামেন। তবে সে লক্ষ্য পুরণে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছে প্রশাসন।
সূত্রগুলো সতর্ক করে বলছে, এই পরিকল্পনার আওতায় প্রায় ছয়জন ফিল্ড অফিস কর্মকর্তার পুনর্নিয়োগ অন্তর্ভুক্ত যা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। পরিচয় গোপন শর্তে সুত্রগুলো জানায় এসব পরিকল্পনা এখনও বিবেচনাধীন রয়েছে। দেশজুড়ে বিতাড়ন কার্যক্রম তদারকি করতে দুই ডজনেরও বেশি ফিল্ড অফিস পরিচালক রয়েছেন। প্রতিটি কর্মকর্তার দায়িত্বপালন এলাকা একাধিক স্টেট বা বড় অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত।
আঞ্চলিক পরিচালকরা আইসকে আটক সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করার জন্য চাপের মুখে রয়েছেন। এজেন্সি ইতিমধ্যেই তার প্রধান পরিচালক ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের দুইবার বদল করেছেন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যাবিগেল জ্যাকসন রদবদলের পরিকল্পনা নিয়ে কোন মন্তব্য না করলেও এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্টের নীতি বাস্তবায়নের জন্য পুরো দল একসাথে কাজ করছে, এবং সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করা থেকে শুরু করে অপরাধমূলক অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নে আমাদের সাফল্য এই সবকিছুর প্রমাণ।’
এই বছরের শুরুতে, ট্রাম্পের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ স্টিফেন মিলার ওয়াশিংটনে আইসের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিতাড়ন কার্যক্রমের গতি বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। এর কিছু সময় পর তিনি ফক্স নিউজকে জানান, এজেন্সি দিনে ৩,০০০ জনকে আটক করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
মিলারের মন্তব্যের পর আটক সংখ্যা বেড়ে দিনে ২,০০০ ছাড়িয়ে যায়। তবে তারপর থেকে আটক সংখ্যা কমে গেছে, এবং আইস এখনও দিনে ৩,০০০ জন আটক করার লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। গ্রীষ্মকাল থেকে এজেন্সি সাধারণত দিনে ১,০০০ এর বেশি মানুষকে আটক করছে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তারা ৪,০০,০০০-এর বেশি মানুষকে বিতাড়ন করেছে, এবং প্রথম বছরের শেষে মোট ৬,০০,০০০ বিতাড়ন করা হবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।