নিউয়ার্ক বিমানবন্দরে হাম আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত, ঝুঁকিতে শতাধিক যাত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০২ নভেম্বর ২০২৫, ২২:৪৭


দ্রুত ছড়ায় এমন একটি ভাইরাসজনিত রোগ হচ্ছে হাম।গত কয়েক মাসে দেশে বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে রোগটি।
গত ১৯ অক্টোবর এক হাম আক্রান্ত একজন ভ্রমণকারী নিউয়ার্ক লিবার্টি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের মাধ্যমে ভ্রমণ করেন। এরপরেই সতর্কবার্তা জারি করে নিউ জার্সি হেলথ ডিপার্টমেন্ট।
ভ্রমণকারী ব্যক্তি ওই দিন দুপুর ২টা ১৫ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বিমানবন্দরের টার্মিনাল বি-তে ছিলেন। তিনি নিউ জার্সির বাসিন্দা নন। তবে সেখানে উপস্থিত অন্যান্য যাত্রীরা তার মাধ্যমে ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিউ জার্সি হেলথ ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ে বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকা ব্যক্তিদের নিজেদের শরীরে হামের উপসর্গ আছে কিনা তা সতর্কভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এছাড়াও, সবাইকে হাম, মাম্পস ও রুবেলা (এমএমআর) টিকার সর্বশেষ ডোজ নেওয়া আছে কিনা তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে ডিপার্টমেন্টটি।
এমন সময় ঘটনাটি সামনে এসেছে যখন অ্যামেরিকায় হামের প্রকোপ দ্রুত বাড়ছে। সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি)এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে, এখন পর্যন্ত ৪২টি স্টেটে মোট ১,৬৪৮টি হাম আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি।

হামের লক্ষণ ও ঝুঁকি
হাম একটি সংক্রামক রোগ, যা সাধারণত পুরো শরজুড়ে ফুসকুড়ি বা দাগ সৃষ্টি করে। মায়ো ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, এই রোগটি আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ছড়ায়—অর্থাৎ কাশি বা হাঁচির সময় নির্গত ছোট ছোট ফোঁটার মাধ্যমেই অন্যরা সংক্রমিত হতে পারে।
সাধারণত সংক্রমণের ১০ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়। প্রধান লক্ষণগুলো হলো—তীব্র জ্বর, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল ও পানি ঝরা এবং পুরো শরীরে ফুসকুড়ি বা লাল দাগের মতো র‍্যাশ দেখা দেওয়া।
মায়ো ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, বেশিরভাগ মানুষ প্রায় ১০ দিনের মধ্যে হাম থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন, এবং সাধারণত এর দীর্ঘমেয়াদি কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে না। তবে, কিছু ক্ষেত্রে হাম খুবই গুরুতর এবং প্রাণঘাতী হতে পারে। বিশেষ করে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের এবং যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা খুব দুর্বল তাদের জন্য।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যারা ওই সময়ে হাম-আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাদের মধ্যে অনেকেরই নভেম্বরের ৯ তারিখ পর্যন্ত কোন উপসর্গ নাও দেখা দিতে পারে। কারণ ভাইরাসটি শরীরে ঢোকার পর ১১–১২ দিন পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে।