বিবিসির প্রতিবেদন

মামদানির কাজে কীভাবে ট্রাম্প বাগড়া দিতে পারেন

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:০১

নিউইয়র্ক সিটির নতুন মেয়র নির্বাচিত হওয়ার কয়েক মুহূর্ত পরই মার্কিন রাজনীতির উদীয়মান তারকা জোহরান মামদানি তাঁর পরবর্তী লড়াইয়ের দিকে নজর দেন। এ লড়াই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে।
ভোটে জেতার পর গত মঙ্গলবার দেওয়া বিজয় ভাষণে জোহরান মামদানি সরাসরি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প, আমি জানি, আপনি দেখছেন। তাই আপনার জন্য চারটি শব্দ: টার্ন দ্য ভলিউম আপ (আওয়াজ বাড়ান)।’
কয়েক মিনিট পরই ট্রাম্প তাঁর মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ জবাব দেন, ‘...এবং সেভাবেই শুরু হলো!’
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানিকে ডেমোক্রেটিক পার্টির ‘কমিউনিস্ট ভবিষ্যৎ’ বলে আখ্যা দেন।
মেয়র নির্বাচনে ট্রাম্প সাবেক ডেমোক্রেটিক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে সমর্থন দিয়েছিলেন। কুমো এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। নির্বাচনের আগে ট্রাম্প নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, তারা যদি জোহরান মামদানিকে বেছে নেন, তাহলে তিনি ওই নগরে তহবিল দেওয়া বন্ধ করে দেবেন।
আর জোহরানের বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পরের দিন সকালে ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, মানুষ নিউইয়র্ক থেকে পালিয়ে যাবে।
এবারই প্রথম নয়। নিউইয়র্কে জন্ম নেওয়া ও বেড়ে ওঠা ট্রাম্পকে এর আগেও নগরটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। তিনি অভিবাসনবিরোধী অভিযান জোরদার করা থেকে শুরু করে নিজের অপছন্দের নীতি ‘কনজেশন প্রাইসিং’-এ অর্থায়ন বন্ধ করার চেষ্টা পর্যন্ত করেছেন।
তবে ট্রাম্পের হুমকিতে জোহরানকে বিচলিত মনে হয়নি।
নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর দেওয়া বক্তব্যে নতুন মেয়র বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হওয়া একটি জাতি কীভাবে তাকে পরাজিত করলো তা যদি দেখাতে হয়, তাহলে বলব এটাই সে শহর যেখানে তিনি বেড়ে উঠেছেন।’
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প ফেডারেল ক্ষমতা ব্যবহার করে ডেমোক্র্যাট-নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন শহরের ওপর চাপ তৈরি করেছেন। তিনি ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অভিবাসনবিরোধী দমন অভিযান চালিয়েছেন।
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প ফেডারেল ক্ষমতা ব্যবহার করে ডেমোক্র্যাটনিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন শহরের ওপর চাপ তৈরি করেছেন। তিনি ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অভিবাসনবিরোধী দমন অভিযান চালিয়েছেন।
ব্যয় বিল পাস না হওয়ায় গত ১ অক্টোবর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারে শাটডাউন (অচলাবস্থা) শুরু হলে ট্রাম্প বিভিন্ন শহরের জন্য নির্ধারিত বরাদ্দে কাটছাঁট করেন। এ তালিকায় নিউইয়র্কও আছে। সেখানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা ১ হাজার ৮০০ ডলারের ফেডারেল তহবিল স্থগিত করেছেন।
রাজনীতিবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বিবিসিকে বলেছেন, ট্রাম্প আরও কাটছাঁট করতে পারেন। এতে নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের জীবনযাপনের খরচ কমাতে জোহরান যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেগুলো পূরণের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে পারে।
নিজেকে ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট হিসেবে পরিচয় দেওয়া জোহরান তাঁর নির্বাচনী প্রচারে বিনা মূল্যে ও দ্রুতগতির বাসসেবা, আবাসন খাতে ভাড়া স্থির রাখা, নগর পরিচালিত মুদিদোকান প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক জুলিয়ান জেলিজার মনে করেন, নবনির্বাচিত মেয়রকে এখন নিজের পরিকল্পিত সব কাজ এগিয়ে নেওয়ার বদলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সামলানোর দিকেই বেশি মনোযোগ দিতে হবে।
জেলিজার বলেন, ‘এটা নগরের (নিউইয়র্ক) জন্য সমস্যা তৈরি করবে। পাশাপাশি এটা নবনির্বাচিত মেয়রের জন্য মনোযোগ দিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।
এ ব্যাপারে জোহরানের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেছিল বিবিসি। তবে তিনি সাড়া দেননি।
ফেডারেল তহবিল–সংকট
জোহরান নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে আইনসভার সদস্য ছিলেন। নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, তাঁকে তাঁর উচ্চাভিলাষী নীতি বাস্তবায়ন করতে হলে ট্রাম্পের পাশাপাশি আরও কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।
জোহরান বলেছেন, বিভিন্ন সম্পদশালী প্রতিষ্ঠান এবং নিউইয়র্কের শীর্ষ উপার্জনকারী মানুষদের ১ শতাংশের কর বাড়িয়ে তিনি ১ হাজার কোটি ডলার রাজস্ব সংগ্রহ করতে পারবেন। কিন্তু এ জন্য অঙ্গরাজ্যের গভর্নরের অনুমতি লাগবে।
ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর ক্যাথি হকুল এখন পর্যন্ত জোহরানের কর পরিকল্পনাকে সমর্থন জানানোর বিষয়ে দ্বিধা প্রকাশ করেছেন।
আগামী বছর গভর্নর নির্বাচনে হকুলকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে পড়তে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ট্রাম্পের সহযোগী এলিস স্টেফানিক বলেছেন, তিনি গর্ভনর পদে লড়ার জন্য রিপাবলিকান দলের হয়ে মনোনয়ন চাইবেন।
গত বছর নিউইয়র্কের জন্য ফেডারেল বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৮৫০ কোটি ডলার, যা নগরের মোট বাজেটের ৭ শতাংশ। এখন ট্রাম্প যদি ফেডারেল তহবিলে আরও কাটছাঁট করেন, তবে পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করাটা আরও কঠিন হয়ে যাবে।

জুলিয়ান জেলিজার বলেন, ‘নগরে কোনো কিছু করতে গেলেও অর্থের প্রয়োজন হবে। যদি ফেডারেল তহবিল কমতে শুরু করে, তবে নতুন কিছু করাটা আরও অনেক কঠিন হয়ে যাবে।’
নিউইয়র্ক নগরের ইনডিপেনডেন্ট বাজেট অফিসের তথ্য বলছে, এসব তহবিল বিভিন্ন পরিষেবায় ব্যবহৃত হয়। যেমন আবাসন বিভাগ, জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, শিশুবিষয়ক বিভিন্ন পরিষেবা, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা তহবিল এবং স্কুলে খাবারের ব্যবস্থা।
ট্রাম্প কোন কোন ফেডারেল তহবিলকে নিশানা করবেন, তা সুনির্দিষ্ট করে বলেননি।
নিউইয়র্ক নগরের ইনডিপেনডেন্ট বাজেট অফিসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সারাহ পার্কার বলেন, গৃহহীন মানুষের আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য অর্থায়নসহ পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। সুতরাং ফেডারেল তহবিল বন্ধ হলে শহর ও অঙ্গরাজ্য সরকারকে তহবিলের জোগান দিয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করতে হবে, যা অন্য কর্মসূচির ওপর চাপ তৈরি করবে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্টের অধ্যাপক জাস্টিন ডে বেনেডিক্টিস-কেসনার বলেন, ‘খাদ্যসহায়তাসহ বিভিন্ন খাতে কংগ্রেস অনুমোদিত তহবিল বন্ধ রাখলে ট্রাম্পকে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে যারা এই সহায়তা পাওয়ার কথা, তাদের কাছে সেই অর্থ পৌঁছানোর প্রক্রিয়া অনেক ধীর হয়ে যাবে।’
ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন
ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন শহরগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের হুমকি দিয়েছেন। তিনি লস অ্যাঞ্জেলেস, পোর্টল্যান্ড, ওরেগন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড সেনাদের মোতায়েন করেছেন। ট্রাম্পের দাবি, এসব শহর অপরাধপ্রবণ। এগুলোতে ফেডারেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন।
এখন পর্যন্ত ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহরে সেনা পাঠানোর বিষয়ে অনীহা জানিয়েছেন। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সিদ্ধান্তটি পাল্টে যেতে পারে।
জোহরান বলেছেন, নিউইয়র্কে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন হলে তিনি আইনি ব্যবস্থা নেবেন। যেমনটা অন্য অঙ্গরাজ্যগুলো করেছে। অনেক মামলা এখনো আদালতে বিচারপ্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।
অভিবাসন কর্তৃপক্ষের তল্লাশি বৃদ্ধি
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ট্রাম্প নিউইয়র্কে তাঁর অভিবাসন নীতি আরও কঠোর করতে পারেন। ১৯৮০-এর দশক থেকে নিউইয়র্ক স্যাংকচুয়ারি নগর হিসেবে পরিচিত। এর মানে হলো, শহরটি ফেডারেল অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে সীমিত মাত্রায় সহযোগিতা করে।
ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যেই নিউইয়র্কে অভিবাসন আদালতগুলোয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা জোরদার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্কবিষয়ক কর্তৃপক্ষের (আইসিই) প্রতিনিধিরা বাধ্যতামূলকভাবে অভিবাসন শুনানিতে উপস্থিত শতাধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করেছেন।
বিদায়ী মেয়র এরিক অ্যাডামস বেশির ভাগ সময় ট্রাম্প প্রশাসনকে সহযোগিতা করেছেন। তবে সাত বছর বয়সে উগান্ডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হওয়া জোহরান ভিন্ন অবস্থান নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
মেয়র নির্বাচনে জয়ের পর দেওয়া ভাষণে জোহরান মামদানি বলেন, ‘নিউইয়র্ক অভিবাসীদের নগর হয়েই থাকবে। এটি এমন এক শহর যেটিকে অভিবাসীরা গড়ে তুলেছেন, পরিচালনা করছেন এবং এখন থেকে একজন অভিবাসী শহরটিকে নেতৃত্ব দেবেন। আমাদের যে কারও কাছে পৌঁছাতে হলে, আপনাকে আমাদের সবার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।’
বিদায়ী মেয়র এরিক অ্যাডামসের ফেডারেল সরকারকে সহযোগিতা করার পেছনে অবশ্য কারণ আছে। ট্রাম্পের বিচার বিভাগ অ্যাডামসের বিরুদ্ধে ফেডারেল ঘুষ ও জালিয়াতির মামলা বাতিল করেছিলেন। এই ঘটনায় নিউইয়র্কের শীর্ষ কৌঁসুলি পদত্যাগ করেন।
কৌঁসুলি দাবি করেন, অ্যাডামসের আইনজীবীরা মামলা বাতিল করতে বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ করেছিলেন। এর বিনিময়ে তাঁকে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছিল।
ট্রাম্প থেকে সুরক্ষিত নিউইয়র্ক গড়ার প্রস্তুতি
নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি আগামী জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেবেন। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক বব শাপিরোর ধারণা, ট্রাম্পের প্রথম পদক্ষেপগুলো মোকাবিলায় কৌশল নির্ধারণ করতে জোহরান একটু সময় নেবেন।
অন্য শহরের ডেমোক্র্যাটিক দলীয় মেয়ররা ট্রাম্পকে মোকাবিলায় নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন। যেমন বোস্টনের মেয়র মিশেল উ প্রেসিডেন্টের বিরোধিতা করে কঠোর অবস্থান নিতে দেখা গেছে। সান ফ্রান্সিসকোর মেয়র ড্যানিয়েল লুরি প্রযুক্তি খাতের নেতাদের সাহায্য নিয়ে ট্রাম্পকে ন্যাশনাল গার্ড সেনা পাঠাতে বাধা দিয়েছিলেন। তিনি যুক্তি দেখিয়েছিলেন, এতে শহরের অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়তে পারে।
শাপিরোর মতে, জোহরান নিউইয়র্কে একই রকম পদক্ষেপ নিতে পারেন। তিনি ফেডারেল সেনা মোতায়েন ঠেকাতে ওয়াল স্ট্রিটের নেতাদের সহযোগিতা চাইতে পারেন। সেখানেই ট্রাম্প তার আবাসন ব্যবসা খাতে ক্যারিয়ার গড়েছিলেন।
ট্রাম্পের প্রভাববলয় থেকে নিউইয়র্ককে সুরক্ষিত রাখতে নবনির্বাচিত মেয়র একটি নীতিমালা তৈরি করেছেন। এ–সংক্রান্ত এক নথিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রভাব মোকাবিলায় শহরের আইনি বিভাগকে শক্তিশালী করতে তিনি আরও ২০০ আইনজীবী নিয়োগ করবেন।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্টের অধ্যাপক ডে বেনেডিক্টিস-কেসনার মনে করেন, জোহরান তাঁর উচ্চাভিলাষী নীতি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। তাই, তিনি হয়তো নির্দিষ্ট নীতিমালার বিষয়ে ট্রাম্পবিরোধী নিউইয়র্কবাসীর সমর্থন জোগাড়ের জন্য প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ানোর পথটিকেই বেছে নেবেন।
কেসনার আরও বলেন, ‘আমি মনে করি ট্রাম্পের সঙ্গে তিনি তখনই দ্বন্দ্বে জড়াবেন, যখন তা তাঁর নীতিগত লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে। আর আমি মনে করি, তিনি যথেষ্ট বুদ্ধিমান রাজনীতিবিদ। অকারণে তিনি সেটা করবেন না।’