
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে সোমবার অ্যামেরিকা সফরে আসেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান।
প্রিন্সের সম্মানে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প আয়োজন করেন এক চোখ ধাঁধানো লাল গালিচা সংবর্ধনা ।
সেখানে প্রিন্সকে স্বাগত জানাতে ট্রাম্পের নিজ থেকে এগিয়ে যাওয়া, আকাশে যুদ্ধ বিমান উড়িয়ে সম্মান জানানো কিংবা প্রয়াত সৌদি সাংবাদিক খাশোগী হত্যায় অভিযুক্ত সালমানের বিরুদ্ধে ঢাল হয়ে দাঁড়ানো, এসব কিছু নিয়ে আলোচনা চলছে সাধারণ থেকে কূটনৈতিক পর্যায়ে।
তবে আর সবার আলোচনা এবার চাপা পড়েছে ট্রাম্পের উদ্দেশে সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের এক বিদ্রূপাত্মক মন্তব্যে।
জাঁকজমকপূর্ণ এ লাল গালিচা সংবর্ধনার পর স্যান্ডার্স সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে প্রেসিডেন্টকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘ট্রাম্প মুসলিমদের অপছন্দ করেন, তবে বিলিয়নিয়ার স্বৈরাচারী মুসলিমদের ছাড়া, বিশেষত যারা তাকে আরও ধনী বানাতে সাহায্য করেন।’
এনডিটিভি নিউজ জানায়, জ্যেষ্ঠ এ সিনেটরের বিদ্রূপসূচক মন্তব্য এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
কেননা ২০১৮ সালে সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের সৌদি সাংবাদিক খাশোগী হত্যার পর এটিই প্রিন্সের প্রথম অ্যামেরিকা সফর। খাশোগী হত্যায় অভিযুক্ত সালমান অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।
এমনকি এ সফরেও খাশোগী হত্যায় জড়িত ছিলেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হন প্রিন্স। সালমানকে রক্ষা করতে স্বপ্রণোদিত ট্রাম্প দেন প্রশ্নের উত্তর। সাংবাদিকের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের অতিথিকে বিরক্ত করবেন না। তিনি এ সম্পর্কে কিছুই জানতেন না’
অন্যদিকে এক সফরেই অ্যামেরিকায় ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন সালমান।
আবার, মুসলিমদের উদ্দেশে বিভিন্ন সময় ট্রাম্পের কটুক্তিপূর্ণ মন্তব্যের কথাও অজানা নয়।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে ২০১৭ সালে সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন ট্রাম্প, যা ওই সময় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া ২০১৬ সালের একটি সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার মনে হয় ইসলাম আমাদের ঘৃণা করে।’ অ্যামেরিকায় বিদ্বেষী মনোভাবের অনেক মুসলিম আছেন দাবি করে তিনি মসজিদ পর্যবেক্ষণ ও মুসলিমদের প্রবেশে বাঁধা সৃষ্টি করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।