নিউইয়র্ক সিটি বাংলদেশি সিভিল সার্ভিস সোসাইটির ওয়ার্কশপ

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:১২

‘ওয়ান টু ওয়ান গভর্নমেন্ট জবস এন্ড বেনিফিট ওয়ার্কশপ’- নামে একটি হাতেকলমে তথ্য আদান প্রদানে কর্মসূচির আয়োজন করা হয় সেন্ট্রাল কুইন্স লাইব্রেরি জ্যামাইকায়। গত ২ নভেম্বর শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই ওয়ার্কশপে শতাধিক আগ্রহী চাকরি প্রার্থীকে হাতে কলমে সরকারি চাকরিতে আবেদন করার পদ্ধতি শেখানো হয়েছে।
এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থীকে তাদের পছন্দের চাকরিতে সরাসরি আবেদন সম্পূর্ণ করে দেয়া হয়েছে। সরকারি চাকরির জন্য একাউন্ট খোলা, বাংলাদেশ বা অন্য দেশ থেকে অর্জিত শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে মূল্যায়ন করে আমেরিকার সমমান করা, জীবন বৃত্তান্ত ও কভার লেটার তৈরি করা, কোথায় কখন আবেদন করা যায়, নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়া- এসব খুঁটিনাটি বিষয় একজন একজন করে হাতে ধরে ধরে শিখিয়ে দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও কীভাবে স্বল্পমূল্যে বা বিনামূল্যে সরকারি বাড়ি, এপার্টমেন্ট ও অন্যান্য সরকারি আর্থিক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় সেবিষয়েও ওয়ার্কশপে আগত প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্যসহ খোঁজ খবর দেয়া হয়েছে। ওয়ার্কশপ সমন্বয় করেছেন কুইনস সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সহকারি মহাব্যবস্থাপক সেলিনা শারমিন। আহ্বায়ক ছিলেন আজহার আলী খান ও হানিফ মজুমদার। তথ্য প্রদান সংক্রান্ত আটটি ডেস্কে যারা চাকরি প্রার্থীদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন, তারা হলেন ফাতেমা খান, সাইদা হাবীব, ডা. নাফিসুর রহমান, ডা. রেজাউল কবীর, মোঃ শফিকুল ইসলাম, আরিফ অর্ণব, মাহবুব কবীর, আশরাফুজ্জামান, মোঃ রফিকুল ইসলাম, সৈয়দ মিজানুর রহমান ও মনজুর কাদের।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন এনবিসিএস এর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান উপদেষ্টা মোমেন ভূঁইয়া, সুজাউদ্দিন মোল্লা, রীনা সাহা, মোঃ আবদুল্লাহ ও আওকাত হোসেন খান, যোগ্যতা ও সম্ভাবনা থাকা সত্বেও যারা সঠিক তথ্যের অভাবে উপযুক্ত কাজ খুঁজে পাচ্ছেন না তাদেরকে হাতে ধরিয়ে সরকারি চাকরির খোঁজ খবর জানানোর কাজটি বহুদিন ধরেই করে যাচ্ছে নিউ ইয়র্ক সিটি বাংলাদেশি সিভিল সার্ভিস সোসাইটি, সংক্ষেপে এনবিসিএস। এই সংগঠনে যুক্ত আছেন নিউ ইয়র্ক সিটি, স্টেট ও ফেডারেল সিভিল সারভিসে নিয়োজিত চৌকস কর্মকর্তাবৃন্দ।
সংগঠনটির প্রধান কাজই হলো, নিউ ইয়র্কে বসবাসরত বাঙালি নর নারীদের সরকারি চাকরিতে যোগদানের ধাপগুলো হাতেকলমে শিখিয়ে পড়িয়ে দেয়া। সংগঠনটির ধারাবাহিক নিরলস প্রচেষ্টার ফলে আজ প্রবাসে এমন কোন সরকারি দপ্তর নেই যেখানে ঝাঁকে ঝাঁকে বাংলাদেশি জনবল সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
দ্বিতীয় পর্বে ছিলো ডা. নাফিসুর রহমানের পরিচালনায় বার্ষিক সাধারণ সভা। এতে বক্তব্য রাখেন ইশরাত জাহান আসমাউল হুসনা, সাইদা আহমেদ, জোবায়ের রানা, নয়ন আহমেদ প্রমুখ। চাকরি প্রার্থীদের আগ্রহ ও উৎসাহের প্রেক্ষিতে আগামীতে আরও বড় পরিসরে ও বেশি বেশি জব সেমিনার এবং ওয়ার্কশপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী আয়োজন সার্থকভাবে সম্পন্ন করা হয়।