ওয়াশিংটন ডিসি-তে বাংলাদেশ দূতাবাসে ৫৩তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন উপলক্ষে ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় দূতাবাসে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেভাল অপারেশনস ফর ইন্টিগ্রেশন অফ ক্যাপাবিলিটিস অ্যান্ড রিসোর্সেস এর ভাইস অ্যাডমিরাল জে. ব্র্যাড স্কিলম্যান।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, ডিফেন্স অ্যাটাচে, পেন্টাগন ও স্টেট ডিপার্টমেন্টসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য সরকারি অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্য অতিথিবৃন্দের মাঝে প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাশাপাশি দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের চার্জ দ্য এফেয়ার ডিএম সালাহউদ্দিন মাহমুদ এবং দূতাবাসের ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ শাহেদুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
ভাইস এডমিরাল জে. ব্র্যাড স্কিলম্যান তার বক্তব্যে জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অবদানকে অগ্রগণ্য করে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার ও আত্মোৎসর্গকে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এক মহিমান্বিত অর্জন হিসেবে উ্ল্লেখ করেন। তদুপরি, তিনি শান্তি ও সমৃদ্ধির অগ্রগতির জন্য অব্যাহত সহযোগিতার জন্য তার আশা প্রকাশ করে বাংলাদেশ এবং মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্বের উপর জোর দেন।
চার্জ দ্য এফেয়ার মাহমুদ তার বক্তব্যে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সকল সদস্যসহ আত্মত্যাগকারী লাখো শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গভীর ও বহুমুখী প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ওপর জোর দেন এবং উল্লেখ করেন যে উভয় দেশ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ইস্যুতে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। মাহমুদ বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার কথা তুলে ধরে সম্পর্ক জোরদার করতে এবং ভবিষ্যতের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ শাহেদুল ইসলাম অতিথিদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান সর্মথন ও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
প্রধান অতিথি ভাইস এডমিরাল স্কিলম্যান এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দের উপস্থিতিতে কেক কাটা এবং নৈশভোজের আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব আতাউর রহমান।