গ্রিসে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও প্রবাসী বাংলাদেশিদের দোরগোড়ায় বিভিন্ন সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করেছে এথেন্সস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
রাজধানী এথেন্স থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে মানোলাদাসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে অন্তত ১০ হাজার বাংলাদেশি কৃষিকাজে জড়িত। তাই সেখানে গিয়ে গত শনি ও রোববার দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশি অভিবাসীদের সেবা দিয়েছে এথেন্সস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। প্রবাসীরা ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে দূতাবাসের বিভিন্ন সেবা গ্রহণে উপস্থিত হন।
দূতাবাসের প্রথম সচিব রাবেয়া বেগমের তত্ত্বাবধানে মানোলাদায় গণশুনানির আয়োজন করা হয়। যেখানে কয়েক শতাধিক প্রবাসী তাদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরলে সমাধান দেন রাবেয়া বেগমসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
এছাড়াও পাসপোর্ট নবায়ন, পাসপোর্ট রি-ইস্যু, জন্মনিবন্ধন সেবা, বিশেষ আইনগত সেবা, ওয়েজ আর্নার্স সদস্যপদ নিবন্ধন ও পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা দেওয়া হয়। এ সময় প্রবাসীদের বৈধপথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। প্রবাসীরা দোরগোড়ায় দ্রুত এবং সহজতর সেবা পেয়ে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সেবা নিতে আসা প্রবাসী বাংলাদেশি আব্দুল জলিল বলেন, আমরা গ্রাম থেকে শহরে দূতাবাসে যেতে চাইলেই যাওয়া সম্ভব হয় না। যাতায়াত ব্যবস্থার তেমন একটা সুবিধা নেই। ৪-৫ জন মিলে একটি মাইক্রো ভাড়া করে যেতে হয়। প্রায় ৩০০ কি.মি দূর, যেতে ৪-৫ ঘণ্টা সময় লেগে যায় এবং অনেক অর্থ খরচ হয়। দিনে দিনে গিয়ে আর ফিরে আসাও সম্ভব হয় না। এথেন্সে গিয়ে দূতাবাসের সেবা পাওয়া আমাদের জন্য অনেক কষ্টকর। কিন্তু আমাদের কষ্ট বুঝে দূতাবাসের কর্মকর্তারা গ্রামে এসে আমাদের সেবা দেওয়ায় আমরা খুবই খুশি।
দূতাবাসের প্রথম সচিব রাবেয়া বেগম বলেন, মানোলাদায় বাংলাদেশিদের বড় একটি অংশ বসবাস করেন, তারা এথেন্সে যেতে হলে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাই আমরা তাদের ঘরের পাশে এসে ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলার সেবা দিচ্ছি। গণশুনানির আয়োজন করে তাদের কথা শুনে সমাধান দিচ্ছি। ১-২ মাস পর পর ভ্রাম্যমাণ কন্সুলার সেবা দেওয়ার কারণে মানোলাদায় বসবাসকারী বাংলাদেশিরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
রাবেয়া বেগম আরও বলেন, এ ধরনের ভ্রাম্যমাণ কন্সুলার সেবা গ্রিসে বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় পর্যায়ক্রমে দেওয়া হচ্ছ।