প্রবাসের অন্যতম বৃহত্তম সংগঠন চিটাগাং এসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকার নির্বাচন পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনের আপৎকালীন সময়, করোনাকালীন স্থবিরতা, অন্তর্বর্তীকালীন কমিটিসহ সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন ও এ নিয়ে ওঠা আপত্তির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, করোনাকালীন স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন ও নির্ধারিত সময়ে একটি সঠিক ভোটার তালিকা প্রণয়নের মধ্য দিয়ে সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করার কথা থাকলেও সে কমিটি নির্ধারিত সময়ে দায়িত্ব শেষ করতে ব্যর্থ হয়। অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি প্রথমে একটি বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন গঠন করেন যা সমিতির বেশীর ভাগ সদস্যই তাক্ষণাৎভাবে প্রত্যাখ্যান করেন। সকলের সম্মিলিত এবং ব্যাপক আপত্তির কারণে নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। সে নির্বাচন কমিশনের অধীনে উৎসবমুখর পরিবেশে স্মরণকালের হাড্ডাহাড্ডি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার পর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পদসহ নয়টি পদে তাহের-আরিফ পরিষদের নেতৃবৃন্দ নির্বাচিত হন।
সাংবাদিক সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে, নির্বাচনের পরাজিত প্রার্থী মাকসুদুল হক চৌধুরী প্রকাশ্যে ফেসবুক লাইভে এসে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বর্ণবিদ্বেষী বলে শারীরিকভাবে ও নিগৃহীত করার ও হুমকি প্রদানের জোর প্রতিবাদ জানানো হয়। এসময় ফল ঘোষণার সময় প্রকাশ্যে আসা চ্যালেঞ্জ ভোটের ব্যাখ্যাও প্রদান করা হয়।
এছাড়াও পরাজিত প্রার্থীরা চট্টগ্রাম ভবনে প্রবেশ করে অসাংবিধানিকভাবে জনৈক ব্যক্তির মাধ্যমে শপথ গ্রহণের নাটক করে বলেও অভিযোগ আনা হয়। মাকসুদ মাসুদ প্যানেল থেকে নির্বাচন করে যারা নির্বাচিত হয়েও যথাযথভাবে শপথ গ্রহণ করেননি, তারা যদি অবিলম্বে শপথ না নেন তবে নির্বাচন কমিশন বরাবার নির্বাচনে দ্বিতীয় ভোট প্রাপ্ত প্রার্থীদের শপথ না নেয়া পদে নির্বাচিত ঘোষণা করার দাবীও জানান তারা।১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটস পালকি সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচিত সভাপতি তাহের ও সাধারণ সম্পাদক আরিফ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।