নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে ’শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:৪৫

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ যথাযথ মর্যাদায় ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন করে। ’শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদ বুদ্ধিজীবী এবং অন্যান্য শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
শহিদ বুদ্ধিজীবি দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় কনসাল জেনারেল মোঃ নাজমুল হুদা তার বক্তব্যে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের একেবারে চূড়ান্তকালে বাংলাদেশের যে সকল সূর্য-সন্তান, জাতির অত্যন্ত মেধাবী মানুষরা বর্বর হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছিলেন, তাদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি শহিদ সকল বুদ্ধিজীবীর রূহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য তাদের অতুলনীয় অবদানকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, স্বধীনতার ঊষালগ্নে দেশের প্রথিতযশা চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, লেখক-সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ গুণী মানুষদের নির্মমভাবে হত্যা করে জাতিকে মেধাশূণ্য করার হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার প্রয়াস চালায় স্বাধীনতাবিরোধীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য অধ্যাপক মোফাজ্জাল হায়দার চৌধুরী, মুনীর চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, শহীদুল্লাহ কায়সার, গিয়াস উদ্দীন, ডাঃ ফজলে রাব্বী, আব্দুল আলীম চৌধুরী, সিরাজ উদ্দীন হোসেন, সেলিনা পারভীন, ড. জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা সহ আরো অনেকে এই জঘন্য হত্যাকান্ডের শিকার হন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা এই পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার জঘন্য পথ বেছে নেয়। কনসাল জেনারেল বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে দৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান এবং বিশেষ করে তরুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার উপর গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে শহিদ বুদ্ধিজীবীবৃন্দ এবং শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।