কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ সৌদ আল-সাবাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন
কুয়েতে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আইন ভাঙার হার বেশি। এ অবস্থায় কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেন দেশটির আইন-কানুনের প্রতি কঠোর আনুগত্য বজায় রেখে সুশৃঙ্খল জীবন-যাপন করেন সে বিষয়ে অবহিত করতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেছেন কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ সৌদ আল-সাবাহ।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে মঙ্গলবার কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ সৌদ আল-সাবাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেসময় তিনি বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে লা মানা (বিশেষ অনুমতি) প্রথা বাতিলের প্রস্তাব দেন।
সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে দক্ষ ও পেশাদার মানবসম্পদ, বিশেষ করে প্রকৌশলী, ডাক্তার, নার্স, ফিজিওথেরাপিস্ট এবং আইটি বিশেষজ্ঞদের পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিশাল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত আরও উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও পেশাদার মানবসম্পদ কুয়েতে পাঠাতে প্রধান প্রতিবন্ধকতা ‘লা মানা’ প্রথা। দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের প্রধানতম প্রতিবন্ধকতাও এটি।
সম্প্রতি কুয়েত সফর করেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশিদের ভিসা ইস্যুতে ‘লা মানা’ বাতিলের বিষয়ে জানান।
ভারত, নেপাল থেকে নতুন ভিসায় আসা শ্রমিকরা মেডিকেল, ম্যানপাওয়ার সম্পন্ন করে এক মাসের কম সময়ে কাজে যোগাদান করেন। তাদের সর্বমোট খরচ হয় এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা।
একই পেশায় বাংলাদেশি শ্রমিক আসতে মেডিকেল, ম্যানপাওয়ার সম্পন্ন করতে সময় লাগে প্রায় ৩ মাস। ‘লা মানা’ প্রথার অজুহাতে মধ্যস্থতাকারী দালাল সিন্ডিকেট বাংলাদেশিদের প্রতিটি ভিসা ৭ থেকে ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করে থাকে।