মিয়ানমারে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের অতিথিদের সামনে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশকে তুলে ধরা হয়।
উৎসবে ইয়াঙ্গুনের কূটনৈতিক মিশনসমূহের প্রধানগণ, অন্যান্য কূটনীতিক, জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, মিয়ানমারের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, পেশাজীবীরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ইয়াঙ্গুনের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ আর্ট অ্যান্ড কালচারের শিক্ষার্থীরা মিয়ানমারের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও যন্ত্রসঙ্গীত-‘হার্প এবং দূতাবাস পরিবারের শিশুরা মনোমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশন করে।
রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে নির্যাতিত নারীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ, যারা বৈষম্যহীন নতুন এক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাদেরকেও স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত ড. হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের মহান বিজয় বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন যা অর্জিত হয়েছে ২৩ বছরের দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে। তিনি দেশ গঠনে প্রবাসীদের ভূমিকার কথা এবং তাঁদের জন্য বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন।
সন্ধ্যায় দূতাবাস পরিবার ও কমিউনিটির সদস্যদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয় যা অতিথিদের ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায়। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের নৈশভোজে আপ্যায়ন করা হয়।
এদিকে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে চ্যান্সেরি চত্বরে বর্ণিল আলো এবং দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা করা হয়। এর আগে ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ বিজয় উৎসব অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন, রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টার বাণী পাঠ, দুটি ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।