এবিসিএসসিও’র মিলন মেলা

ডেস্ক রিপোর্ট
  ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:১৩

নিউইয়র্ক তথা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরগুলোতে চাকরির সুবিধা দিন দিন বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশীদেরকে ‘অড জব থেকে বেরিয়ে মূলধারা’র চাকুরিতে সম্পৃক্ত হতে নানা সুযোগ রয়েছে। যোগ্যতানুসারে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশীরাও দূর প্রবাসে পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করতে পারেন।
সেক্ষেত্রে নিউইয়র্ক সিটির এইচআরএ সার্ভিসের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত বাংলাদেশীদের সংগঠন আমেরিকান-বাংলাদেশী সিভিল সার্ভিস কালচারাল অর্গানাইজেশন (এবিসিএসসিও) সার্বিক সহযোগিতা দেবে। সংগঠনটির পারিবারিক মিলনমেলায় বক্তারা এসব তথ্য জানান। নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত তিন শতাধিক বাংলাদেশীর এই সংগঠন এবিসিএসসিও। পাঁচ বছর ধরে চলছে এর কার্যক্রম। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রোববার ১৯ জানুয়ারী সন্ধ্যায় সিটির উডসাইডস্থ তিব্বতি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজন করা হয় পারিবারিক মিলনমেলার।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো শুভেচ্ছা বক্তব্য, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর নৈশভোজ। এছাড়াও অনুষ্ঠানের অতিথিরা এবিসিএসসিও প্রকাশিত ‘ছন্দিত স্পন্দিত’ ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করেন। সাংস্কৃতিক পর্বে ছিলো সঙ্গীতানুষ্ঠান, নাচ, গান আর কবিতা।
এতে বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী ও প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী শাহ মাহবুব সহ স্থানীয় শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এছাড়াও নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা এতে অংশ নেয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদা এবং আমন্ত্রিত অতিথি সাপ্তাহিক বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিসের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মীর বাশার, অ্যাসাল-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট মাফ মিসবাহ উদ্দিন, মূলধারার রাজনীতিক এটর্নী মঈন চৌধুরী সহ বাংলাদেশী কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।
সংগঠনের কর্মকর্তাদের মধ্যে মোহাম্মদ রুহুল কদ্দুস, রহিমা বেগম, জাহাঙ্গীর আহমেদ রুবেল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বিভিন্ন পর্ব উপস্থাপনায় ছিলেন মনজুর কাদের, মুমু আনসারী ও রওশন হাসান। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘এবিসিএসসিও’র মতো সংগঠনগুলো নিজেদের প্রতিনিধিত্ব করা ছাড়াও দেশকেও প্রতিধিত্ব করতে পারে।
এছাড়াও বক্তারা সংগঠনটির মাধ্যমে বাংলাদেশী-আমেরিকানদের মধ্যকার সৌহার্দ-সম্প্রীতি আরো জোরদারের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং নিজেদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশী-আমেরিকানদের প্রতি আহ্বান জানান। নিউইয়র্ক (ইউএনএ)