ইতালির রোমে টিএমসি স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮ অক্টোবর টিএমসি ইসলামিক স্কুলের উদ্যোগে বেলা ১১টায় তরপিনাত্তারা মসজিদে টিএমসি এ পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষা সম্পর্কে অবগত করতে। স্থানীয় শিক্ষার পাশাপাশি দেশীয় শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। শিক্ষা হচ্ছে মনের মানসিক বিকাশ বিশেষ করে শিশুদের এই শিক্ষায় উদ্ভুদ্ধ করা। সেজন্য অভিভাবকদের ভূমিকা অপরিসীম।
তারা বলেন, দীনি শিক্ষার ব্যাপারে উৎসাহী করতে হবে আমাদের এবং শিশুদের আচার-আচরণ এমনভাবে শেখাতে হবে যেন ইতালিয়ানরা শিশুদের ব্যবহারে বুঝতে পারে ইসলাম শান্তির ধর্ম। অবশ্যই সেদিকে অভিভাবকদের নজর রাখতে হবে।
টিএমসি স্কুলের শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ ইমরানের সঞ্চালনায় এবং সমাজসেবক ও টিএমসির পরিচালক জালাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি সমাজসেবক টি.এম.সি এর প্রধান উপদেষ্টা হাফেজ মাওলানা আমিনুর রহমান।
আরও বক্তব্য দেন বিশেষ অতিথি গ্লোবাল ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যান রাইটস সভাপতি মাহমুদ আহমাদ নাঈম, আর এম সি সভাপতি এস. এম.সাইফুল ইসলাম, টিএমসি মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা হুমায়ুন রশিদ রাজি, উপদেষ্টা মিজানুর রহমান, টিএমসি পরিচালক মো. মশিয়ার রহমান মিন্টু প্রমুখ।
বক্তারা আরও বলেন, ইসলাম মানুষকে সুশিক্ষা দেয়। অভিভাবকরা শুধু স্কুলে পাঠিয়ে দিলেই শিশুরা জ্ঞান অর্জন করতে পারবে না। শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদের রোল মডেল হতে হবে। উভয়ের সমন্বয়ে একজন ভালো ছাত্র হওয়া সম্ভব সেদিক অভিভাবকদের খেয়াল রাখা উচিত।
তারা আরও বলেন, বাবা-মায়ের সঙ্গে খুব সুন্দরভাবে কথা বলতে হবে। শিশুদের সঠিক সময়ে নামাজ আদায় করাতে হবে। তোমাদের ভালো লেখাপড়া করতে হবে। গার্ডিয়ানদের আরও সচেতন হতে হবে এবং দীনের পথে থাকতে হবে। সন্তানদের সেই পথে রাখতে চেষ্টা অব্যাহত রেখে ঘরকে দিনের দূর্গ বানানোর চেষ্টা করা। তাহলে আমাদের ওপর আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হবে।
এ সময স্কুলের দীনি শিক্ষার্থীরা কোরআন তেলেয়াত, ইসলামি সঙ্গীত পরিবেশন করেন। আরবি তিন বিভাজিত প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় এ রকম ১১ জনকে ভালো ফলাফলের জন্য ক্রেস্ট দেওয়া হয়। অন্যান্য শিক্ষার্থীদের শান্তনা পুরস্কার দেন স্কুলের অতিথিরা।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে টিএমসি মসজিদ ক্রয় করার জন্য প্রায় দশ লাখ ইউরো দরকার যা বাংলায় ১০ কোটি টাকা। মসজিদের প্রধান উপদেষ্টা হাফেজ আমিনুর রহমান মসজিদটি ক্রয় সম্পন্ন করতে সবার প্রতি সাহায্যের আহ্বান জানান। এরই মধ্যে যারা সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।