ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য বললেন

আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিজয় হবে

নতুনধারা
  ১০ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৫৪

বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য থমাস জেডিহস্কি বলেছেন, আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিজয় হবে। 
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারবিষয়ক সেমিনারে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য থমাস জেডিহস্কি এ কথা বলেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একটি কক্ষে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য থমাস জেডিহস্কি এবং ‘স্টাডি সার্কেল লন্ডন’ এর যৌথ আয়োজনে বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারবিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের কর্মসংস্থান এবং সামাজিক বিষয়ক বাজেট নিয়ন্ত্রণ কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান থমাস জেডিহস্কি, ‘স্টাডি সার্কেল লন্ডন’ এর চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ মোজাম্মেল আলী, বাংলাদেশের সাবেক মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান ও মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবী ড. রায়হান রশিদ।
সেমিনারে বক্তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তারা বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০২০ সালে বাংলাদেশের মোট বাণিজ্যের ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে। বাংলাদেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে পোশাক শিল্পের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে সেমিনারে উল্লেখ করেন বক্তারা।
বক্তারা আরও বলেন, ২০০০ সালে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মাত্র ২ বছরে জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় আটগুণ। 
থমাস জেডিহস্কি বলেন, বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ থেকে পূর্ণাঙ্গ শিল্পোন্নত দেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। আজ বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। উল্লেখযোগ্য স্থিতিশীলতা ও দ্রুত উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বাংলাদেশকে ‘দক্ষিণ এশীয় বাঘ’ বলে আখ্যা দেন। 
তিনি আরও বলেন, অবশ্যই বাংলাদেশের এ অভূতপূর্ব উন্নয়নের জন্য বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারকে ধন্যবাদ। বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দৃঢ় সম্পর্ক এবং উচ্চ পারস্পরিক বিশ্বাস রয়েছে, যা একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্বের ইঙ্গিত দেয়।
সেমিনারে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য মেরগুলহো, এস অ্যান্ড ডি এর উপদেষ্টা সারাহ বুগেজা, সারানজোবা রেনিউ এর উপদেষ্টা ভেরোনিকা হোরুউডোভা, ইপি বাহ্যিক বিভাগের কর্মকর্তা লোটে পিটার্স, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য স্টেফেনেক এর সেক্রেটারি ডায়ানা চেজোভা, সাবেক ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য পাওলো কাসাকা, ইন্টা সচিবালয়ের কর্মকর্তা পালোমা সার্ভিন, ফেলিক্স নির্বাচন পর্যবেক্ষণ বিভাগের উপদেষ্টা সারা মার্কেস, ইপি অর্থনৈতিক পলিসি বিভাগের কর্মকর্তা জর্ডান ডি বোনো, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য গ্রুপ সচিবালয়ের কর্মকর্তা সাবরিনা নেজেম, ইপি মানবাধিকার বিভাগের অফিসার সিমোনা বিশকোস্কা, ইউরোপীয় রিপোর্টার ফোরামের রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক নিক পাওয়েল, ইপি আউটরিচ বিভাগের অফিসার আলেক্সিয়া রুস্কা মারকোরিস, ব্রাসেলসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহাবুব হাসান সালেহ, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া বিভাগের অফিসার নাদিয়া সাবাত্তিনি, ইসিআর পলিসি উপদেষ্টা মিগুয়েল টোডেলানো, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিভাগের কর্মকর্তা ম্যাগি হুইন, ইপিপি সচিবালয়ের কর্মকর্তা মার্ক ভ্যান ক্রানেনবার্গ, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অর্থ বিভাগের কর্মকর্তা জুজান্না হেবডজিনস্কা, ইপিপি প্রেস বিভাগের কর্মকর্তা জ্যান ওসুচ, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া বিভাগের প্রধান নিকোলো রিনালডি, উইলেম ভ্যান ডের গিস্ট, তাজিন মাহনাজ, বেলজিয়ান রাজনীতিবীদ ম্যাক্সিম ভ্যানডেকারকহোভ ও আনা আবদি, হাসনাত মিয়া, শহিদুল ইসলাম শহীদ, আনসার আলী, গোলাম জিলানী, স্টাডি সার্কেল লন্ডন এর সাধারণ সম্পাদক জামাল খান, সোহেল খান, ডা. সায়মা মোস্তফা, ঈসমাইল খান প্রমুখ।