গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে সড়ক দুর্ঘটনায় সজীব খাঁন (২২) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার সঙ্গে থাকা আরও এক বাংলাদেশি।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) তার মৃত্যুর খবর জানাজানি হলে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে। এর আগে গত শনিবার স্থানীয় সময় রাতে এথেন্সের মেতারসুগিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সজীব খাঁন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ধানতলিয়া এলাকার মাফুজ খাঁনের ছেলে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার সঙ্গে থাকা ফাহিম হোসেন নামের এক যুবক। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ।
জানা যায়, নিহত সজীব খাঁন চার বছর আগে ইউরোপের দেশ গ্ৰিসে প্রবেশ করেন। দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে সজীব ছিল সবার বড়। সজীব থাকতো এথেন্সের ইপীরু এলাকায়।
সজীব প্রতি বছরে সিজনাল কর্মী হিসেবে আইল্যান্ডের রেস্টুরেন্টে কাজ করতো। বর্তমানে আইল্যান্ডে রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকায় তার কোনো কাজ ছিল না।
সজীবের থাকা রুমমেটরা জানান, শনিবার রাতের বেলা তার বন্ধু ফাহিমকে নিয়ে মাংস কেনার জন্য ওমোনিয়া এলাকার উদ্দেশে মোটরসাইকেলযোগে রওনা হন। পথিমধ্যে এথেন্সের কেন্দ্র মেতারসুগিয়া এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সজীব খাঁন। অপর আহত ফাহিম এথেন্সের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিসের সভাপতি আনোয়ার হোসেন জানান, ট্রাফিক সিগনালে এ ঘটনাটি ঘটেছে। রেড সিগনাল অমান্য করে যেতে চাইলে অন্যদিকে গ্রিন সিগনাল থেকে আসা একটি প্রাইভেট কার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে দুমড়ে মুছড়ে রাস্তার পাশে ছিঁটকে পড়ে সজীব খাঁন ও তার বন্ধু ফাহিম। গ্রিসে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিদের ট্রাফিক সিগনাল ও ট্রাফিক আইন মেনে চলাচলের পরামর্শ দেন তিনি।
এথেন্সস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) বিশ্বজিৎ কুমার পাল জানান, আইনি সকল প্রক্রিয়া শেষ হলে যত দ্রুত সম্ভব তার মরদেহ বাংলাদেশ পাঠানো হবে।