ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ” পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, আলোচনা সভা ও রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য।
বক্তব্যের শুরুতে রাষ্ট্রদূত ড. মোঃ মনোয়ার হোসেন মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ এবং সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী নির্যাতিত নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে জাতির জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির দিকনির্দেশনা, মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার গঠন এবং যুদ্ধকালীন দেশের অর্থনৈতিক নীতির রুপরেখা হিসেবে অভিহিত করেন। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু এই ভাষণের মাধ্যমে জনগণের আবেগ ও আকাঙ্ক্ষাকে কূটনৈতিকভাবেঅসাধারণ বাগ্মীতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় একসূত্রে বেধেছিলেন। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণের চুম্বক অংশ “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরোক্ষ ঘোষণা যা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানিকভাবে আসে।
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে পৃথিবীর ইতিহাসের বিখ্যাত ভাষণগুলোর সাথে তুলনা করে ড. হোসেন বলেন, ভাষণটি শুধু রাজনৈতিক বক্তব্যই নয়, মানুষের কাছে আবেদন ও গ্রহণযোগ্যতার বিচারে এটি একটি কালজয়ী অনন্যসাধারণ দলিল। ভাষণটির গুরুত্ব উপলব্ধি করে ২০১৭ সালে UNESCO এটিকে World’s Documentary Heritage এর মর্যাদা দিয়ে Memory of the World International Register হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। রাষ্ট্রদূত ড. হোসেন আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে সঠিক পথে রয়েছে। তিনি বলেন যে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন আমাদেরকে বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাসের শিক্ষা এবং উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে ভবিষ্যত কর্মপন্থা নির্ধারণের সুযোগ দেয়।
অনুষ্ঠানে মিয়ানমারে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকগণ ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।