ব্রঙ্কসের খলিল বিরিয়ানী হাউসে এবারও রোজাদারদের জন্য শতাধিক মজাদার এবং ভিন্নধর্মী আইটেম নিয়ে ইফতারীর আয়োজন করা হয়েছে।দেশীয় ঐতিহ্যবাহী ইফতারের সাথে যুক্ত হয়েছে হালাল চাইনিজ নানা আইটেম।এগুলির মাঝে আছে নানাধরনের কাবাব,জিলাপি, , সমুচা, ভেজিটেবল পকোরা, দু রকম হালিম, সরবত, খোরমা, নানা জাতের মিষ্টি, পুরি, পিয়াজু, বেগুনী, ছোলা, আলু চপ, ডিম চপ, সিঙ্গারা এবং নানা পদের বিরিয়ানী, চিকেন ফ্রায়েড রাইস, ভেজিটেবল ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেনসহ নানারকম আইটেম।
রোজার দুদিন আগে পার্শ্ববর্তী খলিল সুপার মার্কেটটি বিরিয়ানী হাউসের সাথে একীভূত করার ফলে রেস্টুরেন্টটটি একটি বিশাল এবং দৃষ্টিনন্দন রুপ লাভ করেছে। নতুন আঙ্গিকের বিস্তৃত পরিসরের এই রেস্টুরেন্টট্ সাজানো হয়েছে শতাধিক আইটেমের ইফতার সামগ্রী দিয়ে। প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী শেফ খলিলুর রহমান জানান, রোজাদাররা হচ্ছেন আল্লাহর মেহমান। তাদের খেদমতের জন্য প্রতিবছর সাধ্যমত চেষ্টা চালাই । এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। আল্লাহর কাছে হাজারো শোকরিয়া তিনি এবার আমার রেস্টুরেন্টটি বড় আকার করার সূযোগ দিয়েছেন। এছাড়া আমার বড়বড় তিনটি কিচেন রয়েছে। সবগুলি ব্যবহার করে আমার কর্মীদের নিয়ে রোজাদারদের জন্য আকর্ষণীয় ইফতার তৈরি করেছি।
শুধু মুখরোচক নয় ইফতার যেন স্বাস্থ্যসম্মত হয় সে প্রচেষ্টাও আমার অব্যাহত রয়েছে । এবার ব্রঙ্কসের দুটি শাখা ছাড়াও জ্যামাইকা এবং জ্যাকসেন হাইটেক একটি শাখাসহ মোট চারটি বিক্রয়কেন্দ্র থেকে আমরা একসাথে রোজাদারদের জন্য ইফতার সরবরাহ করছি। আলহামদুলিল্লাহ এবারও রোজার প্রথম দিনেই আশানুরূপ সারা পেয়েছি রোজাদারদের রাছ থেকে। পুরো মাসেই তাদের কাছ থেকে এমন সাড়া পাব বলে আশা করছি। খলিল বলেন,গতবারের চেয়ে এবার জিনিষপত্রের দাম বৃদ্ধি পেলেও আমরা ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে মূল্য নির্ধারণ করেছি। দুধরনের ইফতার বক্সের দাম একটি ১০.৯৯ এবং অন্যটি ১২.৯৯ মুল্য নির্ধারণ করেছি। তিনি আরো জানান ব্রঙ্কস এবং জ্যামাইকা শাখায় ইফতার পার্টি করার ব্যবস্থা রয়েছে। খলিল বলেন, শুধু বাংলাদেশি নয়, অন্যান্য দেশের মানুষের কাছেও আমার প্রতিষ্ঠানের ইফতারির গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তাই বিভিন্ন দেশের কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী আগামীতে আরো নতুন নতুন মেনু সংযোজন করার আশা রাখছি।
কানেকটিকাট থেকে এসে খলিলে ইফতার কিনতে এসেছিলেন আবদুল মতিন। তিনি বলেন প্রতি রোজায় আমার পরিবার পরিজন নিয়ে ইফতার কিনি ব্রঙ্কসের খলিল খেকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আমার বাচ্চারা খলিলের চায়নিজ খাবারেরও ভক্ত। ইফতারের সাথে তাদের জন্য চাইনিজ খাবারও নিয়ে যাবো। নর্থ ব্রঙ্কস থেকে ইফতার কিনতে আসা সিলেটের নজরুল ইসলাম বলেন, বাসায় ইফতার বানানো হলেও খলিলের ইফতার না নিলে, মনে হয় কিছু একটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।তাই ছুটে এসেছি ইফতার সংগ্রহ করতে। শুধু বাংলাদেশী নয় খলিলের ইফতারী সংগ্রহ করতে আফ্রিকান কমিউনিটির অনেক মুসলিমের ইফতার ক্রয় করার জন্য লাইনে দাঁডাতে দেখা গেছে। সরে জমিনে ঘুরে দেখা যায় ইফতার কিনতে আসা রোজাদারদের ঢল সামলাতে হিমশিম খেতে গেছে রেষ্টুরেন্ট কর্মীদের।