অভিবাসন আইনের আওতায় জার্মান সরকার দেশটিতে অভিবাসন প্রক্রিয়া সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে। কর্মীদের অভাব মেটাতে প্রস্তাবিত এই আইনের নতুন রূপরেখা তুলে ধরেছেন জার্মান শ্রমমন্ত্রী হুব্যার্টুস হাইল ।
তিনি বলেন, দেশটির বিমানবন্দরে মালপত্র ব্যবস্থাপনার লোক নেই, হোটেল-রেস্তোরাঁয় পরিচারকের অভাব, কারখানায় প্রয়োজন মতো শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া ইঞ্জিনিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ইত্যাদি উচ্চশিক্ষিত কর্মীর অভাব তো রয়েছেই। ফলে বেড়ে চলা চাহিদা সত্ত্বেও শ্রমিক-কর্মীর অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জার্মানির অর্থনীতি। তাই দেশটিতে বিদেশ থেকে অভিবাসী আনা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
গত রোববার জার্মানির শ্রমমন্ত্রী প্রস্তাবিত অভিবাসন আইনের নতুন রূপরেখা তুলে ধরেন। নতুন আইনের মাধ্যমে তিনি শ্রমিক-কর্মীর অভাব মেটানোর লক্ষ্য স্থির করেন। তিনি বলেন, ক্যানাডার মতো পয়েন্ট সিস্টেম চালু করে আবেদনকারীদের বৈধভাবে জার্মানিতে এসে কাজের সুযোগ দিতে চায় সরকার।
চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং জার্মানিতে বসবাসরত মানুষের স্বার্থ রক্ষা করতে সরকার প্রস্তাবিত অভিবাসন আইনে ‘অপার্চুনিটি কার্ড’ নামের নতুন ব্যবস্থা রাখতে চায়। এ আওতায় প্রতি বছর প্রতিটি ক্ষেত্রে চাহিদা অনুযায়ী অভিবাসীদের বৈধ করার সুযোগ দিবে জার্মান সরকার। তবে যারা আসবেন, তাদের চাকুরি বা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপার্জন করতে হবে। সরকারের উপর আর্থিক নির্ভরতা নিতে পারবেন না। অভিবাসীদের ওয়ার্ক ভিসার মেয়াদও আপাতত সীমিত থাকবে বলেন জার্মান শ্রমমন্ত্রী।
জার্মানিতে কাজ করতে আগ্রহী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে নতুন অভিবাসন আইনের পয়েন্ট সিস্টেমের আওতায় মূলত চারটি প্রধান শর্ত রাখা হচ্ছে। বিদেশে শিক্ষাগত যোগ্যতা, কমপক্ষে তিন বছরের পেশাগত অভিজ্ঞতা, জার্মান ভাষার উপর দখল অথবা দেশটিতে বসবাসের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি আবেদনকারীর বয়স ৩৫ হতে হবে। তবে চারটির মধ্যে তিনটি শর্ত পূরণ করলে ‘অপর্চুনিটি কার্ড’ পাবেন অভিবাসীরা। তবে এ বিষয়ে সরকার এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।