কানাডায় জমকালো আয়োজনে শারদীয় দুর্গোৎসব

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০২ অক্টোবর ২০২২, ১২:২৩

কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা চলছে বিভিন্ন কমিউনিটি হলে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে উৎসবে যোগ দিচ্ছেন বিদেশিরাও।
এ বছর বাংলাদেশ পূজা পরিষদ দেবীর আরাধনা করছে পঞ্জিকার তীথি অনুযায়ী। তাদের পূজা শুরু হয়েছে গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে এবং শেষ হবে আগামী ৪ অক্টোবর। অন্যদিকে ক্যালগেরির ‘আমরা সবাই’ আগামী ৮ অক্টোবর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ক্যালগেরির চেষ্টারমেয়ার রিক্রেয়েশন সেন্টারে এবং বঙ্গীয় পরিষদ সংগঠন একই সময়ে দূর্গোৎসব করবে ক্যালগেরির নর্থইস্টের জেনেসিস সেন্টারে।
মা দুর্গার আগমনের প্রতীক্ষা হলো সারা। ভুবনজুড়ে খুশির আমেজ আর আনন্দ। ভালোবাসা আর বাংলা সংস্কৃতিকে হৃদয়ে ধারণ করে ক্যালগেরির বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজন করছে শারদীয় দুর্গোৎসব।
বাংলা সংস্কৃতিকে তুলে ধরে সাজানো হয়েছে পূজা মন্ডপ। বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের পদচারণায় মুখরিত কমিউনিটি হলের পূজা মন্ডপগুলো। দীর্ঘ দুই বছর টানা বিরতির পর নানামাত্রিক আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শারদীয় উৎসবে চলছে দেবী দুর্গার আরাধনা। আলোক উজ্জ্বল আর সূক্ষ্ম ছোঁয়ায় সাজানো হয়েছে পূজামণ্ডপগুলো।
এ বছর উৎসবের সাংস্কৃতিক আয়োজনে অংশ নেবেন বাংলাদেশ ও ভারতের স্বনামধন্য শিল্পীরা। বাংলাদেশ পূজা পরিষদ অব ক্যালগেরির সভাপতি প্রনব দাস বলেন, দুর্গতি বিনাশ করার জন্য তার আবির্ভাব। তাই দেবীর নামকরণ ‘র্দুগা’। আমরা বিশ্বাস করি দেবী সর্বত্র রয়েছেন, মঙ্গলের বার্তা দিয়ে তিনি পৃথিবীকে শান্তিময় করে তুলবেন।
ক্যালগেরির ‘আমরা সবাই’ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রুপক দত্ত বলেন, আনন্দের এই শুভ দিনে মায়ের আশীর্বাদে দেশে ও বিশ্বের মধ্যে শান্তি বিরাজ করবে, আগামী দিনগুলো আরও সুন্দর হয়ে উঠবে, সকল পাপ ও পঙ্কিলতা দূর হয়ে মানুষের মধ্যে শান্তি ফিরে আসবে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।
ক্যালগেরির বঙ্গীয় পরিষদের সভাপতি জয়দীপ স্যানাল জানান, বিশ্ব জননী তিনি সংকট নাশিনী, তিনিই সকল সংকট নাশ করে, ধরাতে অশান্তি দূর করে, সুখ-শান্তি বিরাজমান রাখবেন, নতুন আলোয় উদ্ভাসিত করবেন আমাদের জীবন। এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।
দেশের মাটিতে পা রাখতে না পারলেও কানাডায় সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রবাসী বাঙালিরা দুর্গাপূজাকে ঘিরে মেতে উঠেছেন আনন্দ উৎসবে। নব প্রজন্মের কাছে তুলে ধরছেন আবহমান বাংলার কৃষ্টি ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জাতীয় স্বত্ত্বাকে। দেবীর পায়ে অঞ্জলি আর দর্শনের পাশাপাশি বিশ্ববাসীর সুখ ও শান্তি কামনা করে করছেন প্রার্থনা।