শেখ হাসিনার পদত্যাগ এই সংবাদে উল্লাসে ফেটে পড়েছেন নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসীরা। নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় প্রবাসীরা এই বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠে। বিজয় উল্লাসের আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ এসেম্বলি অব ইউএসএ’। এতে অংশ নেন শত শত প্রবাসী। শিশু থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষকে দেখা যায়। সব শ্রেণীপেশার মানুষ স্বতস্ফুর্তভাবে অংশ নেয় এই উল্লাসে। তাদের হাতে শোভা পায় লাল-সবুজের পতাকা।কর্মসূচি শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে। এরপর প্রবাসী বাংলাদেশীদের মুখ থেকে ভেসে আসে নানান স্লোগান। ‘পালাইছেরে পালাইছে, শেখ হাসিনা পালাইছে’, ‘হৈ হৈ রৈ রৈ শেখ হাসিনা গেল কৈ’; ‘স্বৈরাচার গেল কৈ’; ‘ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই, স্বৈরাচারের ফাঁসি চাই’ ইত্যাদি স্লোগান। বাংলাদেশ এসেম্বলি অব ইউএসএ এর সভাপতি মোঃ শামীম হাসান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এতদিন যে কষ্ট করেছে তার বিস্ফোরণ আজ দেখা গেছে। এই তরুণ সমাজ রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনে দিছে। যা আমরা কখনো ভুলবো না।
বাংলাদেশ এসেম্বলি অব ইউএসএ এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইসলাম (কলিম) বলেন, বাংলাদশে আজ যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা থামার নয়। আপনারা সবাই খেয়াল রাখবেন যাতে কোনো ধরনের বিশৃংখলা না হয়। মহিলা সম্পাদক জাকিয়া সোলাইমান বলেন, আমরা বাংলাদেশকে পরিপূর্ণ স্বাধীন না করে থামতে চাই না। সবাই সজাগ থাকবেন, যাতে দেশে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়। বিজয় উল্লাসে উপস্থিত ছিলেন- সংঘঠনের সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন সরকার, দপ্তর সম্পাদক আতিকুল ইসলাম রফিক, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, মিয়া ফয়েজ আহমেদ (জুয়েল), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন।আরো ছিলেন, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব জ্যমাইকা ফ্রেন্ড সোসাইটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, এ,বি,এম গনি ,বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. ওয়াজেদ খানসহ আরো অনেকে।
জ্যাকসন হাইটস, ব্রঙ্কস, স্টারলিং, ওজন পার্কসহ বিভিন্ন এলাকা
শেখ হাসিনার পদত্যাগ এই সংবাদে উল্লাসে ফেটে পড়েছেন নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসীরা। প্রিয় জন্মভূমি আবার স্বাধীন হয়েছে মনে করে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতেছেন তারা। ফজরের নামাজের পর মসজিদে মসজিদে দোয়া হয়েছে, ভোরেও খোলা হয়েছে মিষ্টির দোকান। একে অন্যকে বুকে জড়িয়ে আনন্দ অশ্রু ঝরিয়েছেন। এ যেন এক বিজয়, শিক্ষার্থী-জনতার জয়। ভোর হতেই নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস, ব্রঙ্কস, স্টারলিং, ওজন পার্কসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় নেমে আসেন নির্ঘুম রাত কাটানো কয়েক হাজার প্রবাসী। দেশের পরিস্থিতি নিয়ে গত কয়েকদিন যারা উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় দিন পার করেছেন, তারা যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়েছেন ভোরের বাতাসে।
এ আনন্দ-উচ্ছ্বাস এবং বাঁধভাঙা উল্লাসে ছিল যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি, বিএনপির অঙ্গ সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন, বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী এবং সাধারণ প্রবাসী বাংলাদেশিরা। পরিবার-পরিজন এবং নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে তারা উল্লাসে যোগ দেন। তাদের হাতে ছিল বাংলাদেশের পতাকা, মথায় ছিল বাংলাদেশের পতাকা, হাতে ছিল শেখ হাসিনা ঘৃণামূল বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড। অনেক স্থানে তারা ঢাকঢোল নিয়েও উপস্থিত হন এবং সংগীত পরিবেশন করেন। সেই এক অন্যরকম দৃশ্য। বৃষ্টিও তাদের দমাতে পারেনি। সবকিছু উপেক্ষা করে তারা ভোর রাতেই বেরিয়ে এসেছেন। মিষ্টি বিতরণ করেছেন।
জ্যাকসন হাইটসসহ অনেকে এলাকাতেই মিষ্টির দোকান খালি হয়ে যায়। এই আন্দোলন এবং আনন্দ-উল্লাসে অসাধারণ দায়িত্ব পালন করেছেন আল আমিন রাসেল, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতৃবৃন্দ এবং ছাত্রসমাজ। শেষ দিন যোগ দিয়েছিলেন নিউইয়র্ক সাংবাদিক এবং পেশাজীবীরা। আনন্দ-উল্লাসে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নাল আবদিন ফারুক, শিল্পী বেবী নাজনীন, বিএনপির কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাট, জিল্লুর রহমান জিন্তু, গিয়াস আহমেদ, মিজানুর রহমান মিল্টন ভুইয়া, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মওলানা অলিউল্যাহ আতিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ, নিউইয়র্ক দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, নিউইয়র্ক উত্তর বিএনপির সভাপতি আহবাব চৌধুরী খোকন, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনি, এমদাদুল হক কামাল, নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, আনোয়ার হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীম ভুইয়া, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম ফারুক শাহীন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিকদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর এম আলম, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম খান, ইঞ্জিনিয়ার মাঈন উদ্দিন, রুহুল আমিন, জাফর তালুকদার, সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, ভিপি জসীম, বাসেত রহমান, আব্দুস সবুর, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবু সাইদ আহমেদ, এম এ বাতিন, খলকুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাউছার আহমেদ, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক বদরুল হক আজাদ, দেওয়ান কাওসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ আলী মন্ডল, মাজহারুল ইসলাম জনি, বাদল মির্জা, মনির হোসেন, মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন, আমিনুল ইসলাম স্বপন, মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান হোসাইন, মো. শাহীন চৌধুরী, আলোমগীর হোসেন মৃধা, মো. লিয়াকত আলী, বাচ্চু মিয়া, নাছিম আহমেদ, মোতাহার হোসেন
প্রফেসর রফিকুল ইসলাম, রাফেল তালুকদার, এ কে এম রফিকুল ইসলাম ডালিম, গোলাম এম হায়দার মুকুট, আব্দুর রহিম, এ আর মাহবুব, সোয়েব আহমেদ, দিলরুবা আক্তার মায়া, মোমতাজ উদ্দিন, আক্তার হোসেন নান্নু, আরিফুর রহমান কাইজার, বেগ হোসাইন ইসলাম মিঠু, জিল্লুর রহমান খান, তপদী রায় বরুণ, আ. আহাদ হেলাল, শেখ মো. ইসাহক আলী, রুবেল হোসেন, মুরাদ হোসেন, মঈনুল হোসেন, আ. মালেক রুকন, রুহুল আমিন নাসির, নাসির উদ্দিন, রেজবুল ক্রিম, জামাল হোসেন, হাজি সাব্বির রহমান, হুমায়ুন কবির, এম এ কাইয়ুম, তাজুল ইসলাম (চেয়ারম্যান), মুক্তাদির হোসেন, আশরাফ হোসেন, এম এ কালাম, রাহিমুল ইসলাম প্রিন্স, বাইতুল্লাহ শাহীন, জ্যামাইকা ফ্রেন্ড সোসাইটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, ইমদাদুল হক, জাহিদুর রহমান, বেলায়েত হোসেন, শফিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, মামুন সরকার, আল আমিন, জিসান, নূরুল ইসলাম, গোলাম দস্তগীর, ফখরুল ইসলাম মনজু, জেএসডির আহ্বায়ক মোহাম্মদ এনামুল হায়দার, যুগ্ম-আহ্বায়ক সামছুদ্দিন আহমেদ শামীম, সহ-সভাপতি সারোয়ার হোসেন, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক এম এ মালেক, যুক্তরাষ্ট্র জেএসডির যুগ্ম-আহ্বায়ক এম জাকির হোসেন স্বপন, তছলিম উদ্দিন খান, মোহাম্মদ রফিকুল উল্লাহ, সদস্য গাজী আজম বাদল, মোহাম্মদ বাহার, ফরিদ উদ্দিন রতন, সামওয়ান বিন রব (রাব্বুল), আনোয়ার হোসেন লিটন প্রমুখ।