নেত্রকোনায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৯ম প্রয়াণ দিবস পালন করা হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টার দিকে কেন্দুয়ার কুতুবপুর গ্রামে লেখকের নিজ হাতে প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠে কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, লেখকের অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোক শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া হয়েছে।
আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন, শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান। সঞ্চালনা করেন সহকারী প্রধান শিক্ষক শরীফ আনিস আহমেদ।
বক্তব্য দেন, হুমায়ূন আহমেদের চাচা আলতাফুর রহমান আহমেদ, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য বখতিয়ার আহমেদ, স্কুল শিক্ষক তুহিন সরকার, মাহবুব আলম, সমাজ সেবক আজাহারুল ইসলাম, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী এহসানুল শিশর, একই শ্রেণির শিক্ষার্থী কাকুলি বিশ্বশর্মা, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাহমিদ হক প্রমুখ।
এদিকে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় বাংলার নেত্র পত্রিকার কার্যালয়ে হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি সংসদের আয়োজনে আলোচনা সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি কবি তানভীর জাহান চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসাইন।
এ সময় বক্তব্য দেন, প্রাবন্ধিক ও মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, কবি নাভেদ আফ্রিদী, কবি আনিসুর রহমান, সাংবাদিক জাহিদ হাসান, জেলা প্রেসক্লাবের যুগ্মসম্পাদক একেএম আব্দুল্লাহ, জেলা মানবাধিকার নাট্য পরিষদের সভাপতি সালাউদ্দিন খান, জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সহসম্পাদক পল্লব চক্রবর্তী প্রমুখ।
কবি নাভেদ আফ্রিদী তার বক্তব্যে বলেন, বই যে একটি পড়বার বিষয় এটি তিনি মানুষকে উপলব্ধি করাতে পেরেছিলেন। তিনি একটি পাঠক সমাজ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
প্রাবন্ধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী বলেন, হুমায়ূন আহমেদ শুধু পাঠকই তৈরি করেননি। একজন মানুষ হিসেবে যে ব্যাপকতা তা তিনি জীবনভর ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন। তিনি অমর ছিলেন, অমরই থাকবেন। তিনিই পাখির মুখ দিয়ে রাজাকারকে রাজাকার বলেছেন। যা সেসময় আর কেউ বলতে সাহস করেননি।