ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের পর হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে. ট্রাম্পের নেতৃত্বে আবারও জেগে উঠছে আমেরিকার বিশ্ব নেতৃত্ব। ইউক্রেন যুদ্ধের দীর্ঘস্থায়ী অচলাবস্থা ভাঙতে তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, এবং শান্তির পথে নতুন অগ্রযাত্রার ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বৈঠকে অংশ নেয়া বিশ্বনেতারাও ট্রাম্পের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে একে ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের নতুন অধ্যায় হিসেবে আখ্যা দেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, “আমাদের আলোচনাটি খুব ভালো হয়েছে। অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়ও খোলাখুলি আলোচনা করা সম্ভব হয়েছে।” ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে মন্তব্য করেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ। তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলোচনার পথ খুলে দিয়ে অচলাবস্থা ভেঙেছেন। আজকের অগ্রগতি সেখান থেকেই।”
ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টুব বলেন, “গত দুই সপ্তাহে যতটা অগ্রগতি হয়েছে, তা গত সাড়ে তিন বছরে হয়নি।” ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি মনে করেন, “এটি এক নতুন অধ্যায়। রাশিয়ার পক্ষ থেকে তিন বছর কোনো আলোচনার ইঙ্গিত ছিল না, কিন্তু আজ পরিস্থিতি বদলেছে— আর এই পরিবর্তনের কৃতিত্ব প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের।”
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, “আজকের দিনটি ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এতদিন কেউ যুদ্ধকে এই অবস্থানে আনতে পারেনি, এজন্য ট্রাম্পকে ধন্যবাদ।” জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ মন্তব্য করেন, “এই বৈঠক অত্যন্ত সহায়ক হয়েছে। জটিল আলোচনার দরজা খুলে দেওয়ার কৃতিত্ব প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের।” ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বলেন, “শান্তির স্বার্থে সবাই একসঙ্গে। তাই ত্রিপক্ষীয় আলোচনার ধারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন যোগ করেন, “আমরা এক অসাধারণ ন্যাটো সম্মেলন পার করেছি, বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে। এখন ইউক্রেনের জন্য স্থায়ী শান্তি আনা আমাদের যৌথ লক্ষ্য। হত্যাযজ্ঞ থামাতেই হবে।”