ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে থমকে গেল বিদেশি শিক্ষার্থীদের অ্যামেরিকায় পড়াশোনার স্বপ্ন

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩:৪৮
আপডেট  : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩:৫৯

ট্রাম্প প্রশাসনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং ১৯টি দেশের নাগরিকদের ওপর বিধিনিষেধের কারণে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেকেই ইতোমধ্যে অ্যামেরিকায় পড়তে আসার জন্য যথেষ্ট সময় এবং অর্থ খরচ করেছেন। তবে প্রশাসনের কঠোর ভিসা নীতি ও বিধিনিষেধের কারণে আটকা পড়েছেন এসব শিক্ষার্থীরা।
ভিসা আবেদনের জটিলতার কারণে, ভর্তির প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা শরৎ বা ফল সিজনে অ্যামেরিকার ক্যাম্পাসে আসতে পারছেন না।
বার্তা সংস্থা এপি জানায়, গ্রীষ্মে প্রশাসনের অতিরিক্ত যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার ফলে বেড়েছে এই ধীরগতি। এছাড়া, প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতি এবং কিছু শিক্ষার্থীর আইনি মর্যাদা হঠাৎ বাতিল হওয়ার কারণে অন্য শিক্ষার্থীরা নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী বা গবেষকদের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা খুব বড় সমস্যা তৈরি করছে এবং এ ধরনের বাধার মুখোমুখি অন্যদের তুলনায় কমই হতে হয়।
এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আফ্রিকা, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের ১২টি দেশের নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য। এতে বেশিরভাগ মানুষ নতুন ভিসা পাচ্ছেন না। তবে কিছু নাগরিক যেমন গ্রিন কার্ডধারী, দ্বৈত নাগরিক এবং কিছু ক্রীড়াবিদ এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে আছেন। এছাড়া আরও ৭টি দেশের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে, যা শিক্ষার্থী ভিসার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
ট্রাম্প জুনে বলেছিলেন, কিছু দেশের ভিসার ব্যবস্থা ঠিকমতো কাজ করছে না এবং কিছু দেশের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে। এই কারণে তিনি সেই দেশগুলোর ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা চালু রেখেছেন, এবং এই সমস্যাগুলো ঠিক না হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার পরিকল্পনা করছেন।
ইরানের শিরাজের ১৭ বছর বয়সী ছাত্র পুইয়া এই শরতে কানসাসের পিটসবার্গ স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পলিমার রসায়ন পড়ার পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে তাকে সেই পরিকল্পনাগুলো স্থগিত রাখতে হচ্ছে।
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কথা জানার পর, আফগান ছাত্রী সাঘারি পাকিস্তানে তার জুলাই মাসের ভিসা সাক্ষাৎকারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা বাতিল করে দেন। কেননা অ্যামেরিকার নক্স কলেজ তার ভর্তি স্থগিত করার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে। পরে সাঘারি টিউশন ফি অগ্রিম পরিশোধের শর্তে পোলিশ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন।
সাঘারির মতো অনেক বিদেশি শিক্ষার্থী সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও অ্যামেরিকায় পড়াশোনা করতে পারছেন না। অনেকেই ঝুঁকছেন ইউরোপের দিকে।

তথ্যসূত্র:টিবিএন২৪