১৯৮৪ সালের নভেম্বর মাস। নাসাউ কাউন্টির লিনব্রুকে চাকুরিচ্যুত হট স্কেটস স্ন্যাক বারের কর্মী ১৬ বছর বয়সী টেরেসা ফুসকোর কথা ছিল বাড়ি ফেরার, কিন্তু তার আগেই নির্মম নির্যাতন ও ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় ফুসকোকে।
পুলিশ তার মরদেহটি খুঁজে পেয়েছিল আগাছা ও পাটাতনের নিচে চাপা দেওয়া অবস্থায়। এ ঘটনায় ৩০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ পেয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন নির্দোষ তিন ব্যক্তি।
অবশেষে গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তার হন ফুসকোকে নির্যাতন করা আসল হত্যাকারী।
আইউইটনেস নিউজ জানায়, হত্যায় অভিযুক্ত ৬৩ বছর বয়সী ব্যক্তির নাম রিচার্ড বিলোডেও। তার বিরুদ্ধে ঘটনাস্থলে ইচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ দায়ের করেছে নাসাউ কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস।
যেভাবে ধরা পড়লেন ৪০ বছর আগের হত্যাকারী
ফুসকো হত্যার পরপর সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেপ্তার করেন তদন্ত কর্মকর্তারা। আদালত তাদের দোষী সাব্যস্ত করে কারাভোগের রায় দেয়, কিন্তু শুরু থেকেই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন ওই তিন ব্যক্তি।
অবশেষে ২০০৩ সালে ডিনএনএ পরীক্ষায় তদন্ত কর্মকর্তারা নিশ্চিত হন যে, নিহত ফুসকোর শরীরে থাকা বীর্য আর তিন ব্যক্তির বীর্য এক নয়। পরে পুলিশ খুঁজতে শুরু করে আসল হত্যাকারীকে।
নাসাউয়ে বসবাসরত রিচার্ড বিলোডেও ২০২৪ সালের শুরু থেকে সন্দেহভাজনের তালিকায় ছিলেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রিচার্ড বাড়ির পাশের একটি দোকান থেকে স্মুদি কেনেন।
স্মুদি পান করার পর কাপ ও স্ট্র ফেলে দেন আবর্জনার স্তূপে। সেখান থেকে সেগুলো কুড়িয়ে নেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
পরে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে বেরিয়ে আসে স্ট্রতে থাকা ডিনএনএ এবং হত্যার ঘটনাস্থলে পাওয়া ডিএনএ এক। এ প্রমাণের ভিত্তিতে রিচার্ডকে গ্রেপ্তার ও মামলা দায়ের করা হয়।
তথ্য সূত্র: টিবিএন২৪