এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে, এই নির্বাচনে জয় পেয়েছেন ৫ বাংলাদেশিও বংশোদ্ভূত মার্কিন রাজনীতিক, যাদের মধ্যে একজন ছাড়া সবাই ডেমোক্যাট প্রার্থী ছিলেন।
নির্বাচিত বাংলাদেশি আমেরিকানরা সবাই যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট অর্থাৎ অঙ্গরাজ্য পর্যায়ের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার প্রতিনিধি। এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি-আমেরিকান ফেডারেল পর্যায়ে অর্থাৎ সিনেট অথবা কংগ্রেসে নির্বাচিত হতে পারেননি।
বিজয়ী বাংলাদেশিরা হলেন- নিউ হ্যাম্পশায়ার স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ আবুল বি খান (রিপাবলিকান), নিউজার্সি প্লেইন্সবরো টাউনশিপের কাউন্সিলম্যান ড. নুরান নবী, কানেকটিকাট স্টেট সিনেটর মাসুদুর রহমান, জর্জিয়া স্টেট সিনেটর পদে ডেমোক্রাট প্রার্থী শেখ এম. রহমান ও একই স্টেটের অন্য একটি ডিস্ট্রিক্টের সিনেটর নাবিলা ইসলাম।
বুধবার (৬ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি নির্বাচনী ফলাফল ও স্থানীয় কমিউনিটি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, নির্বাচিত পাঁচজন ছাড়াও পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, নিউ জার্সিসহ অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি-আমেরিকান নাগরিক কাউন্টি ও অন্যান্য পর্যায়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে তদের ফলাফল এখনো জানা যায়নি।
এদিকে, সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প ২৭৯টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে জয় নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৩টি ইলেকটোরাল ভোট। তবে এখনো কিছু আসনে ফলাফল ঘোষণা বাকি আছে।
অন্যদিকে, মার্কিন সিনেটের নিয়ন্ত্রণও চলে যাচ্ছে রিপাবলিকান পার্টির হাতে। এখনো অনেক আসনের ভোট গণনা চলমান থাকলেও, এটা স্পষ্ট যে ডেমোক্র্যাটরা তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় যেমন নিশ্চিত হয়েছে একই ভাবে মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষ সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদেও এগিয়ে আছেন রিপাবলিকানরা।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি ভোটাররা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫টি আসন ও সিনেটের ৩৪টি আসনের সিনেটর নির্বাচনেও ভোট দিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা এপির তথ্য অনুযায়ী, সিনেটের যেসব আসনের ফলাফল এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে তাতে রিপাবলিকানরা এরইমধ্যে ৫২টি আসন নিশ্চিত করেছেন এবং ডেমোক্র্যাটরা ৪৪টি আসন পেয়েছেন।
মার্কিন সিনেটে আসন সংখ্যা ১০০। বর্তমান সিনেটে ডেমোক্রেটিক পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। কিন্তু এখন এর নিয়ন্ত্রণ রিপাবলিকানদের হাতে চলে যাচ্ছে।