নিউইয়র্কের কুইন্সে টেরেস অন দ্য পার্কে এ আগামী ১০ নভেম্বর রোববার আয়োজন করা হয়েছে ‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড’-এর প্রথম আসর।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটগরিতে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে আগ্রহীদের ‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ এর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড’ আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা জনপ্রিয় শেফ মো. খলিলুর রহমান, যিনি আমেরিকার জনপ্রিয় খলিল বিরিয়ানি হাউজের প্রতিষ্ঠাতা। কালিনারি শিল্পে অসামান্য অবদানের জন্য যিনি ‘ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড’ এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অন্যতম সম্মানজনক পুরস্কার ‘প্রেসিডেন্সিয়াল লাইফ টাইম অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছেন। আরেক উদ্যোক্তা হচ্ছেন, এনামুল হক এনাম, তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত ‘বিজনেস আমেরিকা ম্যাগাজিন’ এবং বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত বিজনেস ম্যাগাজিন ‘অর্থকণ্ঠ’-এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের দুটি অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ‘এনআরবি ওয়ার্ল্ড’ এবং গ্লোবাল এনআরবি চেম্বারের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা। এছাড়াও তিনি নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
আয়োজকরা জানান, ‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড’ সব দেশের অংশগ্রহণকারীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। পৃথিবীর যে কোনো দেশের উপরোক্ত ক্যাটাগরির প্রতিযোগীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়া এবারই এ ধরনের আসরে আমেরিকায় বসবাসরত যারা নিজের রান্নাঘরে (হোম কুক) সৃজনশীল খাবার তৈরি করেন তাদের মধ্য থেকে সেরাদেরও এখানে পুরস্কৃত করা হবে। বিশ্বখ্যাত মাস্টার শেফ এবং কালিনারি বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে গঠিত সাত সদস্যের জুরি বোর্ড এই আয়োজনের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
তারা আরো জানান, ‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড’ হচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক মূলধারার আয়োজন। এই আয়োজনে নিউইয়র্কের মেয়রসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর থেকে শুরু করে নানা সেক্টরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড’ প্ল্যাটফর্মটি বিশ্বের বৈচিত্র্যময় খাবার ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটাবে। তবে এই আয়োজনের প্রধান উদ্দেশ্য থাকবে, বাংলাদেশের খাবারকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা। বাংলাদেশের আকর্ষণীয় এবং মুখরোচক সব খাবার এবং এ বিষয়ক সংস্কৃতিকে আমরা বিশ্বজুড়ে পরিচিত করা। পাশাপাশি কালিনারি পেশাকে আরও বেশি জনপ্রিয় এবং নতুন প্রজন্মকে এই পেশায় আগ্রহী করাও আমাদের এই আয়োজনের আরেকটি উদ্দেশ্য বলে জানান আয়োজকরা।