১৬ জুলাই মঙ্গলবার নিউইয়র্ক বাংলাদেশি আমেরিকান লায়ন্স ক্লাবের নির্বাচন। জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে সন্ধ্যা ৭ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন চলবে। ১২০ জন সদস্য ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়ছেন এস এম আলম ও রকি আলিয়ান। সাধারন সম্পাদক হিসেবে একক প্রার্থী রয়েছেন বর্তমান সাধারন সম্পাদক জেএফএম রাসেল। ১৩ জুলাই সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচন করবেন এফইএমডি রকি। তার বিপরীতে কেউ মনোনয়ন পত্র জমা দেন নি। প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন একেএম এ রশীদ। তার বিপরীতেও কোন প্রার্থী নেই। অন্যান্য ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হলেন সাবেক সাধারন সম্পাদক হাসান জিলানী ও বিদায়ী কমিটির কোষাধ্যক্ষ মশিউর রহমান মজুমদার। যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ২টি পদে প্রার্থীরা হলেন এমএন হায়দার মুকুট ও আনিসুল ইসলাম টনি। মেম্বারশীপ চেয়ারপারসন পদে প্রার্থী হয়েছেন বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আজাদ ও আইটি বিশেষজ্ঞ আহমেদ সোহেল। ধারণা করা হচ্ছে এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা বেশ জোড়ালো হবে। ১২টি ডাইরেক্টরস পদের মধ্যে ৯ জন সদস্য প্রার্থীতায় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তারা হলেন আমেনা নেওয়াজ (রানু নেওয়াজ), মাসুদ রানা তপন , মাঈনুদ্দিন পিন্টু, হারুন ভূইয়া, এবি সিদ্দিক , মোঃ শফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ জাকির হোসেন জুয়েল, মোহাম্মদ হোসেন ও এনামুল হক এনাম। বেশ কয়েকটি পদের বিপরীতে কেউ প্রার্থীতা ঘোষণা করেন নি।
১১ জুলাই বৃহস্পতিবার সংগঠনের সাধারন সভা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ সাইয়িদের আহবানে ক্লাব সদস্যরা প্রার্থী হবার জন্য নিজেদের নাম ঘোষণা করেন। সাধারন সভায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি শাহ নেওয়াজ। সাধারন সভার শুরুতেই তিনি বলেন, ১৬ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমি এই নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছি না। নতুন নেতৃত্বের বিকাশ ও তাদের কাজ করার সুযোগ দেবার উদ্দেশ্যেই আমি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রার্থী নই। আপনারা আগ্রহীদের নির্বাচন করে আগামীতে ক্লাবকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমি সবসময় সাথে থাকবো। তার বক্তব্যের পর সাধারন সম্পাদক জেএফএম রাসেল সাধারন সম্পাদকের রিপোর্ট পেশ করেন। এতে বলা হয় এই কমিটি গত ১ বছরে ৩৯টি কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। বিভিন্ন খাত থেকে হয়েছে ৪০ হাজার ৭০ ডলার। ব্যয় হয়েছে ১৯ হাজার ৭১৪ ডলার। তহবিলে রয়েছে ২০ হাজার ৩৫৫ ডলার। তবে আয়ের প্রধান উৎস ছিল সদস্যদের চাঁদা।
সাধারন সভা শেষে নির্বাচন কমিশন অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করেন। নির্বাচন কমিশিনের সদস্যরা হলে মোহাম্মদ সাইয়িদ, মতিউর রহমান, আহসান হাবিব, এটর্নি মঈন চৌধুরী ও মোহাম্মদ আলী। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সভায় ১৬ ডিসেম্বরের নির্বাচনের টার্মস অব কন্ডিশনগুলো পড়ে শোনান। তাৎক্ষনিকভাবে নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থীদের নাম আহবান করেন। সভাপতি পদে আলিয়ান রকি, এস এম আলম ও সাধারন সম্পাদক পদে জেএফএম রাসেল নিজেদের প্রার্থীতার ঘোষণা দেন। ১২ জুলাই সন্ধ্যা ৭টা ছিল প্রার্থীতা হবার সময়। সভার শেষলগ্নে বিদায়ী সভাপতি শাহ নেওয়াজের নাম সভাপতি প্রার্থী হিসেবে সদস্যদের মধ্য থেকে প্রস্তাব করলে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো প্রার্থী হতে অপারগতা প্রকাশ করেন্। রাত সাড়ে ১১টায় ডিনারের মধ্যদিয়ে লায়নদের এ সভা শেষ হয়।