নিউইয়র্কে শুরু হয়েছে ২য় রকল্যান্ড রিট্রিট অ্যান্ড বুক ফেয়ার

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৭ জুলাই ২০২৪, ১৩:৩৯

সাহিত্য সংস্কৃতি নিয়ে গত বছর থেকে ভিন্নধর্মি এক আয়োজন শুরু হয়েছে নিউইয়র্কে। লেখক, বিজ্ঞানী ড. ধনঞ্জয় সাহা এর মুল উদ্যোক্তা। রকল্যান্ড রিট্রিট অ্যান্ড বুক ফেয়ার নামের এ আয়োজনে কবি সাহত্যিকরা নগরকেন্দ্রের বাইরে মনকাড়া প্রাকৃতিক পরিবেশে দুই দিন, দুই রাত অবস্থান করেন। এ সময় বাংলা বইয়ের মেলা বলে, কেউ সাঁতার কাটেন, কেউ পাহাড়ে বনে জংগলে দৌড়ঝাপ দেন।  এবারে নিউইয়র্কে ২য় রকল্যান্ড রিট্রিট অ্যান্ড বুক ফেয়ার শুরু হচ্ছে ২৭ জুলাই শনিবার থেকে। নিউইয়র্কের রকল্যান্ড কাউন্টির চেস্টনাট রিজে দুই দিন ব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করবেন নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কন্সুলেট জেনারেল মো: নাজমুল হুদা। প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়েলি যুক্ত হবেন বাংলা একাডেমির প্রাক্তন মহাপরিচালক মোঃ নুরুল হুদা। মহতি এ বইমেলার আয়োজক সংগঠন বেঙ্গলি ইন্টারন্যাশনাল লিটারারী সোসাইটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তারা জানিয়েছেন বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, কানাডা ও আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি এবং অন্য ভাষার কবি সাহিত্যিক লেখক-প্রকাশক ও শিল্প-সংস্কৃতির অনুরাগীদের সমাগম হবে এ বই মেলায়। ঘন ছাযা ঘেরা পরিবেশে আযোজিত এ মেলার স্লোগান “বনের মাঝে লেখার খোঁজে” যেখানে থাকবে বনের মাঝে বসে তাৎক্ষনিক গদ্য-পদ্য লেখার প্রতিযোগিতা।
বেঙ্গলি ইন্টারন্যাশনাল লিটারেরি সোসাইটি’র উদ্যোগে গত বছর প্রথম বারের মতো বই মেলা আয়োজন করা হয়েছিলো যা দেশে-দেশে-বিদেশে ব্যপক সাড়া ফেলে। এ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিজ্ঞানী ও ছড়াকার ড. ধনঞ্জয় সাহা বলেন, প্রবাস জীবনে আমরা ভিন্ন পরিবেশে জীবন যাপন করি। তবু্ও আমদের জীবনে বাংগালী সংস্কৃতির প্রভাবকে আমরা অস্বীকার করতে পারি না। আমরা চাই বিদেশে জন্ম নেয়া আমাদের ছেলে মেয়েরা বাংলা সংস্কৃতিকে চর্চা করুক ও ধারণ করুক। আমাদের নতুন প্রজন্মকে বাংলা ভাষা-সংস্কৃতি এবং বাংগালীত্ব কে লালন করার পদক্ষেপ হিসেবে এটা একটা প্রযাস মাত্র। তাই আমাদের আয়োজনের মূল কাজ হলো নবীন এবং প্রবীণ লেখকদের বাংলা পড়া-লেখায় উৎসাহ যোগানো যাতে তাদের ভাষা চর্চা করার মাধ্যমে সারা বিশ্বে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দেয়া যায়। আমরা মনে করি বাঙালি সংস্কৃতির সাথে নতুন প্রজন্মকে জড়িয়ে রাখার ক্ষেত্রে এই ধরনের আয়োজন চলমান রাখা উচিত। এ ছাড়াও বাঙালি সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়াও আমাদের লক্ষ্য। সেজন্য আমরা গত বছরের মতো এবারও বই মেলার আয়োজন করছি। প্রবাস নতুন প্রজন্মের মাঝে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির গতিশীল কার‍ক্রম তরান্বিত করতে আমাদের এ আয়োজন বিশাল ভুমিকা রাখবে।
বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অসাধারন অবদান রাখার জন্য সারা বিশ্ব থেকে তিন জন বিশেষ ব্যক্তিকে পদক দেয়া হবে ও সন্মানিত করা হবে দুই জন মহান মুক্তিযোদ্ধাকে এ অনুষ্ঠানে।ভাষাভাষী বিপুল সংখ্যক মানুষ দু’দিনের এ মেলায় অংশ নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।