সামারের ছুটি শেষ। কয়েক দিন পরই শুরু হয়ে যাচ্ছে নতুন স্কুল সেশন। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু হবে। পাবলিক স্কুলগুলোর ক্লাস শুরু হবে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া স্টুডেন্টদের বাসায় বাসায় এখন চলছে নতুন ক্লাসে যাওয়ার প্রস্তুতি। সেই হিসেবে চলছে স্টেশনারি সামগ্রী, পোশাক-আশাক, স্কুলব্যাগসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু কেনার। স্কুলের স্টুডেন্টদের বই কেনা লাগে না। কলেজ স্টুডেন্টরা অনেকেই বই কেনেন, আবার অনেকেই কেনেন না। যারা ইতিমধ্যে বই কিনে ফেলেছেন তাদের কথা ভিন্ন, যারা কেনেননি তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জানা গেছে, অনেক অভিভাবকের পক্ষে সন্তানদের জন্য স্কুলসামগ্রী কেনা সম্ভব হয় না। যেসব পরিবার বাচ্চাদের জন্য এগুলো কিনতে পারে না, তারা যাতে একটু সহায়তা পান, সে জন্য কমিউনিটির বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন বেসরকারি নন-প্রফিট অর্গানাইজেশন স্কুলসামগ্রী বিরতণ করে থাকে। যদিও সব পরিবারের কাছে এগুলো পৌঁছায় না। কারও এগুলোর প্রয়োজন থাকলে লাইনে দাঁড়িয়ে নিতে হবে। পরিচিতজনেরা দেখলে কে কী মনে করবে এই চিন্তা করে লজ্জা ও সংকোচের কারণে অনেকে লাইনে দাঁড়িয়ে এগুলো নিতে চান না। আবার অনেকেই আছেন, তাদের প্রয়োজন থাকলেও তারা যান না। যারা যান তারা প্রতিবছর এ ধরনের সহযোগিতা পেয়ে আসছেন। যারা পাচ্ছেন তারা খুশি। যে পরিবারের তিনজন সদস্য স্কুলে যায়, তারা এই খাতের খরচ থেকে রেহাই পান।
সম্প্রতি মজুমদার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের মধ্যে স্কুলসামগ্রী ও স্টেশনারি সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন নন-প্রফিট অর্গানাইজেশনও এসব স্কুলসামগ্রী বিতরণ করে।
এদিকে আগামী ২৮ আগস্ট বুধবার বেলা বারোটা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত স্কুলসামগ্রী বিতরণ করা হবে। কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরি, নর্থ ফরেস্ট পার্ক, মেট্রোপলিটন অ্যাভিনিউতে তা বিতরণ করা হবে। গ্রেস মেংসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কুইন্স ডিএ অফিসের উদ্যোগে স্কুল স্টেশনারি ও স্কুলসামগ্রী বিতরণ করা হবে। ব্যাকপ্যাকে যেসব জিনিস দেওয়া হবে, এর মধ্যে রয়েছে বাকপ্যাকস, ফোল্ডার্স, নোটবুকস, পেন্সিলসহ আরও বিভিন্ন জিনিস।