১৩ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার, সন্ধ্যা ৭টায় আল আকসা পার্টি হলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগ্রাবাদ ইউ.এস.এ-এর সপ্তম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। প্রবাসে অবস্থানরত আগ্রাবাদের প্রাক্তন বাসিন্দাদের এই মিলনমেলা প্রবাস জীবনের নানা ব্যস্ততার মাঝে এক বিশেষ মিলনক্ষেত্র তৈরি করে। এ উপলক্ষে আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে আয়োজক কমিটি এক গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি সভার আয়োজন করেছে, যা বাংলাদেশ প্লাজার হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন আয়োজকদের মধ্যে ওয়াহিদুজ্জামান বকুল, খোরশেদ আলম বাবু, মাকসুদুর রহমান জুয়েল, শামস চৌধুরী রুশো এবং এম. রহমান আতিক।
প্রস্তুতি সভার শুরুতে আয়োজকগন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজনের পেছনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। তারা বলেন এই অনুষ্ঠান শুধু প্রাক্তন বাসিন্দাদের পুনর্মিলনের একটি সুযোগই নয়, বরং এটি আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং পারস্পরিক বন্ধুত্বের বন্ধন আরও মজবুত করার এক উজ্জ্বল মাধ্যম। উল্লেখ্য যে, পুনর্মিলনী শুধু একটি সামাজিক অনুষ্ঠান নয়; এটি প্রবাসে থেকেও নিজের শেকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম। সভায় মূলত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সফল আয়োজন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানের দিনটি যাতে সুষ্ঠু ও সুপরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হয়, সে জন্য আয়োজকদের মধ্যে কার্যবিধি বণ্টন করা হয়। বিভিন্ন দায়িত্ব, যেমন অতিথিদের আপ্যায়ন, মঞ্চ সজ্জা, সাংস্কৃতিক আয়োজন ও সাউন্ড সিস্টেম পরিচালনার জন্য আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করা হয়। আয়োজকরা প্রতিটি কাজকে গুরুত্ব সহকারে সম্পন্ন করার অঙ্গীকার করেন, যাতে অতিথিদের জন্য একটি স্মরণীয় সন্ধ্যা উপহার দেওয়া যায়। রাফেল ড্র অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে উপস্থাপিত হবে, যা প্রতি বছরই অতিথিদের মধ্যে বাড়তি উত্তেজনা ও আনন্দ যোগ করে। সভায় রাফেল ড্রয়ের জন্য ১০টি আকর্ষণীয় পুরস্কার ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যার মধ্যে প্রথম পুরস্কার হিসেবে থাকবে ৫৬ ইঞ্চি টেলিভিশন। এই পুরস্কারগুলো তাৎক্ষণিকভাবে ক্রয় করা হয়, যা অতিথিদের মাঝে আনন্দ এবং উত্তেজনা ছড়িয়ে দিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন মূল্যবান গৃহস্থালী পণ্যসহ আরও ৯টি পুরস্কার থাকবে, যা সকল অংশগ্রহণকারীর জন্য বাড়তি উৎসাহের উৎস হবে। সভায় আরও উল্লেখ করা হয় যে, যাঁরা এখনো পুনর্মিলনীতে অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেননি, তাঁদের দ্রুত রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। আগ্রাবাদ ইউ.এস.এ পুনর্মিলনী কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজতর করা হয়েছে এবং আগ্রহী ব্যক্তিরা কমিটির নির্দিষ্ট সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। এছাড়াও রেজিস্ট্রেশন না করা ব্যক্তিরাও মিলনমেলায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন তবে তাঁদের অনুষ্ঠানের দিন অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামুলক। অনুষ্ঠানটিকে ঘিরে প্রবাসী বাঙালিদের মাঝে ব্যাপক সাড়া দেখা যাচ্ছে। আয়োজকরা আশাবাদী যে, এবারের পুনর্মিলনী আগের সব আয়োজনকে ছাড়িয়ে যাবে এবং অংশগ্রহণকারীরা একটি মনোমুগ্ধকর সন্ধ্যা কাটাতে পারবেন। এরই মধ্যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুনর্মিলনী নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, যেখানে প্রাক্তন বাসিন্দারা তাঁদের স্মৃতিচারণা এবং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পরিকল্পনা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। আগ্রাবাদ ইউ.এস.এ-এর পুনর্মিলনী শুধু একটি সামাজিক আয়োজন নয়; এটি প্রবাসে থেকেও বাংলাদেশ ও নিজেদের এলাকার ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত থাকার একটি সুন্দর উদাহরণ। আশা করা যায়, এই ধরনের আয়োজন প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে তাঁদের শেকড়ের সঙ্গে পরিচিত হতে এবং নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।